KMC: তৃতীয় হয়েছি, জয় শ্রী রাম! BJP নেতাদের কটাক্ষ করে আক্ষেপ সংঘ প্রচারকের

News Desk: কলকাতা পুরনিগমের (KMC) ভোট কি দলের ললাট লিখন? কী বলবেন? রাজ্য নেতাদের বেশিরভাগই ‘অপদার্থ’, ভেবেছিল টাকা দিয়ে উতরে যাবে, বাংলার ভোট যে হিন্দি…

BJP Party Office

News Desk: কলকাতা পুরনিগমের (KMC) ভোট কি দলের ললাট লিখন? কী বলবেন? রাজ্য নেতাদের বেশিরভাগই ‘অপদার্থ’, ভেবেছিল টাকা দিয়ে উতরে যাবে, বাংলার ভোট যে হিন্দি এলাকার নয় তা কে বোঝাবে। তিন নম্বরে নামিয়েছে এবার শেষ করে দেবে। বলেই থামলেন মফস্বল ভিত্তিক আরএসএস নেতা। তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। বরাবর সংঘের সাংগঠনিক দিক থেকে শাখা দলকে সতর্ক করেছেন।

এ তো রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গেল। দেখুন কত ভাঙবে এবার। দিলীপবাবু যে শক্তি নিয়ে নেমেছিলেন, তার বিচার না করে চটজলদি টাকা ছড়িয়ে ভোটের ফায়দা তুলেছেন তবে ওতে কিছু হবে না। কলকাতা পুর নির্বাচনের ফলাফল তো দেখলেন, সিপিএমেরও নিচে নেমেছি আমরা!

সংঘ প্রচারকের সাফ জবাব, যে কমিউনিস্টদের হটাতে কালঘাম ছুটেছে তাদের প্রভাব কি এতই কম হবে হুড়হুড়িয়ে, এটা সম্ভব না। বিধানসভা ভোটের পরেই বলেছিলাম খেসারত দিতে হবে। কলকাতা থেকে দিতে শুরু করল বিজেপি। আমরা কি আর বিরোধী দল হিসেবে কিছু বলতে পারব। পাব্লিক কি এতই মাথামোটা? সরাসরি প্রশ্ন সংঘ নেতার।

আরএসএসের তরফে দক্ষিণ বঙ্গের ছটি জেলায় শাখা শক্তিশালী করার কাজ করছেন। গত বাম জমানায় দীর্ঘ সময় শুধু লেগেছে নিজেদের পরিচিত করতে। তাঁর সাফ দাবি, মমতা রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর সুযোগ বেড়েছে বৈকি। তবে সংঘের রাজনৈতিক শাখা বিজেপির নেতারা সবই চান তড়িঘড়ি। তার কুফল আসছে।

বিজেপি কী করবে?
সংঘী প্রচারকের দাবি, বিজেপিই জানে। আমরা সংঘ করি আমরা নিজেদের কাজ করব। আগেও করেছি। তবে আমাদের মূল প্রতিপক্ষ কমিউনিস্ট পার্টি।

বামেরা তো বিধানসভায় নেই আর। পুর নিগমের ফলাফল থেকে কী আঁচ করলেন। সংঘী নেতার জবাব, নেই তো কী করে কলকাতায় দ্বিতীয় হয়ে আমাদের তিন নম্বরে ঠেলে দিল। ভবিষ্যতের ছবিটা বিজেপির জন্য ভালো না।