লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের একবার বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের সেনাপতি। শুধু তাই নয় অভিষেকের গলায় ফের সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। শুধু তাই নয়, এইদিন ভোট প্রচারে গিয়ে তাঁর গলায় শোনা গেল রাজ্যপালের প্রসঙ্গ। তৃতীয় দফা ভোটের আগে শেষ রবিবারে কৃষ্ণনগরের কালীগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের হয়ে প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এইদিন সভা শুরুতেই বলেন, ” আপনারা পাঁচ বছর সংসদে মহুয়ার পারফরম্যান্স দেখেছেন। মমতার প্রকৃত সৈনিক। দিল্লির তাঁবেদারের কাছে আমাদের সৈনিকেরা মাথানত করেননি। গত ৫ বছর যে ভাবে আপনাদের দাবিদাওয়া সামনে রেখেছে, মুখোশ খুলে দিয়েছেন, এঁদের গায়ে জ্বালা ধরেছে।” মহুয়ার বাড়িতে ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এইদিন বলেন, ” অভিষেক বলেন, ”সন্দেশখালির ভিডিয়ো দেখেছেন? মহিলাদের ২ হাজার টাকা দিয়ে বিজেপি বলেছে। তাঁদের সম্ভ্রম, ইজ্জত ২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে দিল্লির কাছে বিজেপি নেতারা।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন বিজেপি নাকি ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। প্রধানমন্ত্রীর সভার কথা টেনে অভিষেক বলেন, ” গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছেন এখানে? তাঁর প্রতিনিধি, প্রার্থীকে দেখেছেন? মহুয়া মৈত্র সারা বছর থাকেন মানুষের কাছে।” তিনি জোরের সঙ্গে বলেন মহুয়াকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে হারানো। এইদিন তিনি সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলেন, ” বাংলার নাম যাঁরা কলুষিত করেছেন, তাঁদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত কি না!”
তাঁর কথায়, ” একটা রাজনৈতিক দল ঠিক করবে আমি কী খাব, রুই নাকি কাতলা, বেগুন নাকি কপি খাব, ঠিক করবে মোদী সরকার। এই দলকে উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত কি না!” অভিষেক কৃষ্ণনগরের সভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে খোঁচা দেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। ১০ বছর আগে যা দাম ছিল, এখন যা দাম, দুইয়ের মধ্যে তুলনা টানেন। বলেন, এটা না বিতারণ করলে মানুষকে শোষণ করবে।” তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন ”বাংলা-বিরোধী সরকারকে জবাব দিন। যখন ভোটবাক্স খুলবে, সর্ষেফুল দেখবেন বিজেপির নেতারা।”