কোভিডে মৃতদের চিতাভস্ম দিয়ে পার্ক তৈরি হচ্ছে ভোপালে

নিউজ ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই লাশের স্তূপ জমা হয়েছিল ভোপাল-সহ মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। শুধু মধ্যপ্রদেশই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও করোনায় মৃতদের অন্ত্যেষ্টি করতে…

নিউজ ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই লাশের স্তূপ জমা হয়েছিল ভোপাল-সহ মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। শুধু মধ্যপ্রদেশই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও করোনায় মৃতদের অন্ত্যেষ্টি করতে রীতিমতো ঝক্কি পোহাতে হয়েছে পরিবার-পরিজনদের। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়, যে কবরস্থানে জায়গা সঙ্কুলান হচ্ছিল না। শ্মশানে দিন–রাত চুল্লি জ্বালিয়েও দাহ শেষ করা যায়নি। ১৯৮৪ সালে ঘটে যাওয়া ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার সঙ্গে যেই পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর মিল রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দারা। অনেকেই জানিয়েছিলেন ভোপাল গ্যাস ট্রাজেডির পর এই প্রথম এভাবে সারি সারি মৃতদেহের শেষকৃত্য হচ্ছে।

আরও পড়ুন Center Alert: কোভিডের জাল ভ্যাকসিন সম্পর্কে রাজ্যকে সতর্ক করল নয়াদিল্লি

ভোপালের ভাদভাদা বিশ্রাম ঘাটে মার্চ থেকে জুন, এই তিন মাসে ৬ হাজার দেহ পোড়ানো হয়েছে। সেই সময় ভোপালের ভাদভদা শ্মশানের এক কর্মী জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক দিন ১০০-১৫০ কুইন্টাল কাঠ কেটেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না তাঁরা। কাঠ কেটে হাতে ফোস্কা পড়ে গিয়েছে তাদের। ‘শারীরিক এবং মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এত দেহ আসছে যে খাওয়ার সময় পর্যন্ত পাচ্ছেন না।’’ একইসঙ্গে অভিযোগ উঠেছিল, মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে সেখানকার করোনা আক্রান্ত ও তাতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান গোপন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন ভ্যাকসিন কাজ করবে না করোনার নতুন স্ট্রেনে, ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য


আরও পড়ুন আছে করোনা ভয়, তা থাক, সৈকত শহর দিঘার ডাকে স্পেশাল ট্রেনের বুকিং শুরু

অন্যদিকে অন্ত্যেষ্টির পর কোভিড বিধির কারণে অনেক পরিবারই চিতাভস্ম নিয়ে নিয়ে জলে ভাসাতে পারেনি। ভাদভাদা শ্মশানেই জমে রয়েছে প্রায় ২১ ট্রাক চিতাভস্ম। এই চিতাভস্মকেই এবার কাজে লাগাতে চায় মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন। সেই চিতাভস্মের সঙ্গে মাটি, গোবর, কাঠের গুঁড়ো, বালি মিশিয়ে কোভিডে মৃতদের স্মৃতিতে এবার তৈরি হবে পার্ক। মৃতের পরিবার চাইলে প্রিয়জনের স্মৃতিতে চারা রোপণ করতে পারবেন সেই পার্কে।