বুধের পর বৃহস্পতিতেও প্রশাসনিক ঝাঁকুনি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চব্বিশ ঘন্টা আগে রাজ্যে একাধিক আমলা বদলের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে না ঘুরতেই ফের আমলা বদল। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারও একাধিক দফতরের সচিব পর্যায়ে রদবদল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট ৬ দফতরের সচিব পর্যায়ে রদবদল করা হয়েছে।
বহিরাগতদের জাল ডোমিসাইল দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিছিল করে প্রশাসনের দ্বারস্থ বাংলা পক্ষ
উদ্যান পালন দফতর থেকে সরিয়ে সুব্রত গুপ্তকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরে বদলি করা হল। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও করা হল রাজেশ কুমার সিংহকে। ক্রীড়া ও আবাস দপ্তরের সচিব ছিলেন তিনি । তাকে সেই পদ থেকে সরানো হল। রাজেশ সিনহা হাউজিং ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদে ছিলেন। সঙ্গে তাঁকে যুব ও ক্রীড়া দফতরের অতিরিক্ত সচিব পদের দায়িত্ব দেওয়া হল। ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরেরে বিভাগীয় সচিব ছিলেন রশ্মি কমল। তাঁকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বোর্ডের সচিব করা হল।
শুভেন্দুর হাতে ‘মিষ্টি’ খেয়ে দিলীপের মুখে মমতার ‘শুভনন্দন’! নতুন খেলা শুরু?
স্মারকি মহাপাত্রকে কিছু দিন আগে ভূমি দফতর থেকে সরিয়ে মাস এডুকেশনে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে এখন সায়েন্স, টেকনোলজি এবং বায়ো টেকনলজি বিভাগের সচিব করা হল। একইসঙ্গে খলিল আহমেদ ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বোর্ডের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। তাঁকে ফুড প্রসেসিং এবং হর্টি কালচার দফতরে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি করে পাঠানো হচ্ছে। বাকি বাকি দু’জন অতিরিক্ত চিফ সেক্রেটারি পদের।
একদিন আগে আরও ৮ আমলাকে বদলে ফেলেছিল নবান্ন। বদলে যায় ৮ আইএএস অফিসারের দফতর। বুধবার আরও একটি নির্দেশিকা সামনে এনেছিল নবান্ন। অনেক রাজনৈতিক মহলের মতে লোকসভা ভোটের পরে ফের একবার রাজ্যস্তরের সমস্ত কাজে অগ্রগতির জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ।