পরকীয়ার শাস্তি যে এত ভয়ঙ্কর হতে পারে, এই ঘটনা সামনে না এলে বোঝার উপায় ছিল না। এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার জড়িয়েছিলেন এক বাঙালি বধূ। বেশ চলছিল তাঁদের পরকীয়ার খেলা কিন্তু ওই যুবক কিছুদিন আগেই হঠাৎ করে আত্মহত্যা করে। আর ওই মৃত যুবকের বাড়ির লোক অভিযোগ করে যে ওই মহিলার প্ররোচনায় মৃত্যু হয়েছে যুবকের। তারপরেই ওই মহিলাকে মাঝরাস্তায় একটি পোস্টে বেঁধে চরম নির্যাতন করা হয়। অভিযোগ, তাঁর গোপনাঙ্গে ছেটানো হল লঙ্কার গুঁড়ো।
ভোটের পরেই পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানা এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছিল। সপ্তাহখানেক আগে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে মহিলার প্ররোচনায় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন ওই যুবক। এরপর গত ৩ তারিখ বিকেলে মৃত যুবকের পরিবার চড়াও হয় মহিলার বাড়িতে। অভিযোগ, বাড়ি থেকে বের করে এনে প্রকাশ্যে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রেখে বিবস্ত্র করে চলে মারধর। কামিয়ে দেওয়া হয় মাথা। গোপনাঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয়। বিবস্ত্র অবস্থার ছবি তুলে ভাইরাল করে দেয় অভিযুক্তরা। এমনকী, প্রতিবেশীরা বাধা দিতে এলে তাদেরও মারধর করে অভিযুক্তরা। রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। সেদিন থেকেই কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৪ জন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্যাতিতা মহিলার স্বামী অভিযোগ করেছেন যে, ” ওকে টানতে-টানতে বাইরে বের করে এনে সায়া-ব্লাউজ-শাড়ি ছিঁড়ে দিয়েছে। মাথার চুল ন্যাড়া করে দিয়েছে। গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়েছে। আমার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।”