সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ঢুকছে কলকাতার মাছ বাজারে

ওতপ্রোতভাবে বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইলিশ। ভোজনরসিক বাঙালির পাতে বর্ষাকালে ইলিশ থাকবে না বিষয়টি জাস্ট ভাবা যায় না। কারণ এটি স্বাদে ও গুণে অতুলনীয়।…

Hilsa

ওতপ্রোতভাবে বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইলিশ। ভোজনরসিক বাঙালির পাতে বর্ষাকালে ইলিশ থাকবে না বিষয়টি জাস্ট ভাবা যায় না। কারণ এটি স্বাদে ও গুণে অতুলনীয়। সেই সঙ্গে পুষ্টিতেও ভরপুর ইলিশ মাছ। সরষে ইলিশ, ভাপা ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, দই ইলিশ, ইলিশের টক, ভাজা, ইলিশের ডিম আরো কতভাবে ইলিশ খাওয়া যায়। স্বাদের পাশাপাশি ইলিশের যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা আমাদের জানা উচিত।

এবার ইলিশ প্রিয় বাঙালির জন্য এলো সুখবর। বর্ষা প্রবেশ করেছে বঙ্গে। বৃষ্টে শুরু হয়েছে অনেক জায়গাতেই। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, সাগর, পাথরপ্রতিমার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল মরসুমের প্রথম রুপোলী শস্য ইলিশ মাছ।

জানা গিয়েছে, বঙ্গোপাসাগরে বৃষ্টি ও পুবালী বাতাস থাকায় ইলিশে ঝাঁকের দেখা মিলেছে। গত কয়েকদিনে অন্তত ৫০০ টনের বেশী ইলিশ উঠেছে। খুশির খবর এটি খোকা ইলিশ নয়, মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে বড় ইলিশ। মাছগুলি আকারে, ওজনে ৭০০ গ্রাম থেকে এক কিলোর মধ্যে।

Advertisements

গভীর সমুদ্র থেকে ইলিশভর্তি ট্রলার ফিরতে শুরু করেছে নামখানা, কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে। এই মাছগুলি প্রথমে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারের মাছের আড়ৎ আসবে, তারপর পৌঁছে যাবে কলকাতা সহ রাজ্যের সব বাজারে।

তবে এই বছর সেভাবে ইলিশ ধরা পড়েনি। যদিও গত ১৫ জুন থেকে ইলিশ ধরার মরসুম শুরু হয়েছে। লোকসানের মুখে পড়তে হয় মৎস্যজীবীদের।