কলকাতার রবীন্দ্রনগর ও সন্তোষপুর এলাকা (Maheshtala) এখন এক আতঙ্কের সাক্ষী। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুদিন ধরে এই অঞ্চলে ঘটে চলা তীব্র সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পর সেখানকার পরিবেশ একেবারে থমথমে হয়ে উঠেছে, এবং (Maheshtala) পুলিশ প্রশাসন পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখতে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেছে। ঘটনাটি স্থানীয় বাজার এবং আবাসিক এলাকায় তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে, যার ফলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ব্যবসায়ী, অন্যদিকে পুলিশের একাধিক সদস্যও আহত হয়েছেন(Maheshtala)
এলাকার পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে বৃহস্পতিবার সকালেও রবীন্দ্রনগর(Maheshtala) থানার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি(Maheshtala) ছিল নিতান্তই কম, এবং বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। শীতল বাতাসে বিরাজমান শূন্যতা যেন গোটা এলাকাকে এক চাপা আতঙ্কের মধ্যে ঢেকে রেখেছিল। ঘটনাস্থলে ছিল র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স, এবং বিশেষ পুলিশ বাহিনী যারা এলাকার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছিলেন(Maheshtala)
এলাকার স্থানীয়দের কথায়, বুধবার বাজারের (Maheshtala) মাঝখানে হঠাৎ কয়েকশো মানুষ এসে সংঘর্ষ শুরু করে। এতে বেশ কিছু দোকান ভাঙচুর করা হয়, লুটপাট চালানো হয়,(Maheshtala) এমনকি সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি পর্যন্ত ভাঙা হয়। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, তাণ্ডবের ফলে তাঁদের ক্ষতি হয়েছে, এবং এখন ভয়ে দোকান খুলতে সাহস পাচ্ছেন না কেউই। এক স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, ‘‘আমরা তো শুধু কাজ করতাম, কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনও ভাবিনি। এখন তো দোকান খুলতেও ভয় লাগে।’’(Maheshtala)
এলাকার বাজারের তাণ্ডবের ছাপ এখনও স্পষ্ট। বাজারের ভাঙা জানালা, উলটে পড়া দোকানপাট এবং রাস্তার মাঝে ছড়িয়ে থাকা ইট-পাথরের টুকরোগুলি এলাকাটির(Maheshtala) সঙ্কটজনক অবস্থা ফুটিয়ে তোলে। একদিকে যেহেতু পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত, অন্যদিকে অপরাধীরা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার জন্য আরও আগ্রাসী হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে স্থানীয়রা ঘরের বাইরে আসতে সাহস পাচ্ছেন না।(Maheshtala)
এদিন, পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা পুলিশ ১৪ জন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। স্থানীয় থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন পরিস্থিতি যাতে না হয়, সে জন্য ১৬৩ ধারার অধীনে এলাকায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।(Maheshtala) কোনোরকম জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এলাকাটি পুলিশের কড়া নজরদারির আওতায় রয়েছে। পুলিশ বলছে, ‘‘আমরা এলাকাতে পুরোদমে অভিযান চালাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হল, পুরো পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত করা এবং যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ(Maheshtala) করা।’’
এদিকে, গতকাল রাতে সংঘর্ষের সময়ে আহত হয়েছিলেন (Maheshtala) এক মহিলা পুলিশকর্মী। তিনি ইটের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যদিও তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে, রবীন্দ্রনগর থানার পিছনের আক্রা ফটক বাজারে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল, তা নিয়ে পুলিশ আরও তদন্ত করছে।(Maheshtala)
এলাকার পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই পুলিশ (Maheshtala) বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, যারা এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সামগ্রিকভাবে এই ঘটনা শুধুমাত্র এলাকাবাসীকে নয়, বরং শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে আরো বেশি সচেতন ও প্রস্তুত থাকবে।(Maheshtala)
সবশেষে, রবীন্দ্রনগরের মানুষজন একটাই কামনা করছেন—শীঘ্রই এই অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসুক এবং তাঁরা নিজেদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে সক্ষম হোক।(Maheshtala)