Uttarakhand: মৃত্যু উপত্যকা লামখাগা পাস, উদ্ধার ১২ পর্বতারোহীর দেহ

নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ভূমি ধসের কারণে উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি ভয়াবহ। শনিবার সকালে লামখাগা পাস থেকে ১২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরা সবাই পর্বতারোহী।…

uttarakhand-trekkers

নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ভূমি ধসের কারণে উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি ভয়াবহ। শনিবার সকালে লামখাগা পাস থেকে ১২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরা সবাই পর্বতারোহী। NDTV ও Indian Express এই তথ্য জানাচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি।

উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের কাজে বায়ুসেনা, দুই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও আইটিবিপি জওয়ানরা।

   

উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, প্রবল তুষার ধসে বহু অভিযাত্রীর দেহ পাহাড়ের খাদে গড়িয়ে পড়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছে বায়ুসেনার অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার।

uttarakhand-trekkers

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের ট্রেকারের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের দুর্গম এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম লামখাগা পাস। সেখানে ১৭ জনের একটি দল ট্রেকিং করতে গিয়েছিল। ১৬ অক্টোবর থেকে উত্তরাখণ্ডে প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয়। সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধস নামে লামখাগা পাসে। ধসের কারণে ১৭ জনের দলটি নিখোঁজ হয়ে যায়।

সেই নিখোঁজ ট্রেকারদের উদ্ধার করতে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ১৯৫০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত নেমে এসে তল্লাশি চালায়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বরফের মধ্যে ১১ জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এখনও বেশ কয়েকজন ট্রেকার, গাইড এবং পোর্টারের খোঁজ নেই।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের অনুমান, নিখোঁজ যাত্রীরা ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় আটকে আছে। তাদের উদ্ধারের জন্য বায়ুসেনার বিমান পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সকাল পর্যন্ত ভূমি ধসে শতাধিক পর্যটক আটকে আছেন বলে খবর মিলেছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ২০ জনের বেশি। অন্যরা বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা।

গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও ভূমি ধসের কারণে উপড়ে পড়েছে টেলিফোন ও বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে বেশীরভাগ এলাকাতেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। রানিক্ষেত, আলমোড়া, পিথোরাগড়, নৈনিতাল, যোশিমঠের মত বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় জরুরি পরিষেবাও মিলছে না।

একাধিক বাড়িঘর ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, ওই সমস্ত ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেশকিছু মানুষ আটকে থাকতে পারেন। যাঁদের জীবিত অবস্থায় বের করে আনার সম্ভাবনা ক্রমশই কম