যোগীকে হঠাতে স্ট্রেচার শুয়েই ভোট দিতে এলেন জাহির

পক্ষাঘাতের কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলাহাঁটা বন্ধ জাহির খানের। শেষ ১৫ বছর বাড়ির এক চিলতে বারান্দার বিছানাটাই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়। এদিন ৫৮ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। তার মধ্যে হাপুর অন্যতম। জাহির উত্তরপ্রদেশের হাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। এদিন ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই স্ট্রেচারে শুয়ে ভোট দিতে আসেন জাহির খান। অসুস্থ জাহির জানিয়েছেন, শুধুমাত্র যোগী আদিত্যনাথকে ক্ষমতা থেকে সরানোর লক্ষ্য নিয়েই তিনি এভাবে কষ্ট করে ভোট দিতে এসেছেন।

Advertisements

১৫ বছর আগে পক্ষাঘাতের কারণে জাহিরের মেরুদন্ডের কর্ড অকেজো হয়ে গিয়েছে। একেবারে শয্যাশায়ী জাহির। তবে বৃহস্পতিবার প্রথম দফা ভোট গ্রহণ শুরু হতেই তিনি পরিবারের সদস্যদের ভোট দিতে যাওয়ার কথা বলেন। পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ জাহিরকে ভোট দিতে না যাওয়ার কথা বললেও তিনি সে কথা কানে তোলেননি। তাই প্রথমে তাঁকে গাড়ি করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাঁকে স্ট্রেচারে শুইয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বুথের ভিতর।

জাহিরের কাছে জানতে চাওয়া হয় এত কষ্ট করে তিনি কেন ভোট দিতে এলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে জাহির জানান, তিনি শুধু যোগী সরকারকে হঠানোর জন্যই কষ্ট করে ভোট দিতে এসেছেন। জাহির অভিযোগ করেন, যোগী সরকার শেষ পাঁচ বছরে কারও কোন উপকার করেনি। রাজ্যে তারা শুধু বিভাজন, বিদ্বেষ ও হিংসার রাজনীতি করে গিয়েছে। দিনের-পর-দিন ব্যাপক হারে বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন, এমনকী সাধারণ মানুষের জীবন উন্নত করতে যোগী সরকার কোনও কাজই করেনি। ক্ষমতা ধরে রাখতে শুধুই বিদ্বেষ ও হিংসার রাজনীতি করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এমন একজন মানুষকে কখনওই ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে রাখা উচিত নয়। তাই যোগীকে হঠাতেই তিনি ভোট দিতে এসেছেন।

Advertisements

বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নির্বাচন কমিশন তো বাড়ি থেকেই ভোট সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছে। তিনি কেন সেই সুবিধা নেননি? এই প্রশ্নের উত্তরে জাহির জানিয়েছেন, ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আনন্দই আলাদা। তাঁকে দেখে আরও পাঁচজন মানুষ উৎসাহী হবেন এবং তাঁরা সকলেই যোগীর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।