রেলের উচ্চপদে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে কমপক্ষে ৫০ জনের কাছ থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল রীতেশ ও মোহিত রাজপুত নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশ ফরিদাবাদ থেকে রীতেশকে এবং দিল্লির নির্মাণ বিহার এলাকা থেকে মোহিতকে গ্রেফতার করেছে।
মোহিত হরিয়ানার আম্বালার এবং এবং রীতেশ ফরিদাবাদের বাসিন্দা। এই প্রতারণা চক্রের মূল চক্রী রীতেশ। জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থায় মার্কেটিং ট্রেনার হিসেবে কাজ করত রীতেশ। এই প্রতারক দাবি করত, তাঁর এক আত্মীয় রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব। এক কাকা সিবিআই অফিসার। তাঁর বাবা একটি প্রথম সারির রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা। তাই তাঁর এক সুপারিশেই রেলে বড় পদে চাকরি হবে।
রীতেশ আরও জানিয়েছিল, তাঁর বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু পুলিশে চাকরি করেন। তাঁরাও উচ্চপদে রয়েছেন। তাই কোনও রকম পুলিশি ঝামেলায় কাউকেই পড়তে হবে না। এভাবেই বেকার যুবকদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল রীতেশ। তাকে এই কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করত মোহিত। তবে রীতেশ ও মোহিতের শর্ত ছিল, চাকরি পেতে গেলে আগে টাকা দিতে হবে। রীতেশের কথাবার্তায় বিশ্বাস করে বহু মানুষ তাদের কয়েক লক্ষ টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর দিন, সপ্তাহ, মাস গড়িয়ে গেলেও চাকরি আর মেলেনি। শেষ পর্যন্ত ওই দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকজন যুবক রীতেশ ও মোহিতের প্রতারণার কথা জানায়। অভিযোগকারী সকলের বক্তব্যই ছিল এক। সেই সূত্র ধরে হরিয়ানা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এরপরই প্রথমে ফরিদাবাদ থেকে রীতেশকে পরে নির্মাণবিহার থেকে মোহিতকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত দুই যুবক এই প্রতারণার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। রীতেশের কোন আত্মীয় রেল তো দূরের কথা কোনও সরকারি চাকরি করে না। তার কোনও আত্মীয় রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব এটা কল্পনাও করা যায় না। রীতেশ স্বীকার করেছে, তারা কমপক্ষে ৫০ জন যুবককে এভাবেই ফাঁসিয়েছে।