Most Dangerous Drones: ৯-১০ মে রাতে পাকিস্তান ভারতের উপর ধারাবাহিক আক্রমণ শুরু করে, যা ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ করে দেয়। ইতিমধ্যে, একটি তুর্কি ড্রোন ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। এই ড্রোনটির নাম ‘অ্যাসিসগার্ড সোঙ্গার ড্রোন’। তুর্কি সেনাবাহিনী ২০২০ সাল থেকে এটি ব্যবহার করে আসছে। আসিসগার্ড সোঙ্গার হল তুর্কিয়ের প্রথম ড্রোন সিস্টেম। তারপর তুরস্কও এটি অন্যান্য দেশের কাছে বিক্রি করে। তবে, বিশ্বে আরও বিপজ্জনক ড্রোন রয়েছে।
Asisguard Songar ড্রোন
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পাকিস্তানের পাঠানো ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ তদন্ত করা হচ্ছে।’ প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে এগুলো তুর্কিয়ের অ্যাসিসগার্ড সোঙ্গার ড্রোন। এই ড্রোনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে মাটিতে উপস্থিত সেনারা তথ্য এবং শক্তি পেতে পারে। এটি আঙ্কারার একটি কোম্পানি অ্যাসিসগার্ড দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল, তাই এর নামও ‘অ্যাসিসগার্ড’।
বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ৩টি ড্রোন
আমেরিকার MQ-9 রিপার
আমেরিকার MQ-9 রিপার ড্রোন দেখতে সাধারণ, কিন্তু এটি অত্যন্ত শক্তিশালী। এটি মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ভারতে এটি ‘শিকারী-হত্যাকারী’ ড্রোন নামেও পরিচিত। এটি ৮টি হেলফায়ার মিসাইল এবং ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত বোমা বহন করতে সক্ষম। পারে। এটি শত্রুর ট্যাঙ্ক এবং আস্তানাগুলিকে একযোগে ধ্বংস করে দেয়, তাই এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ড্রোন বলা হয়।
ইরানের মোহাজির-৬
ইরানের মোহাজির-৬ ড্রোন গুপ্তচরবৃত্তি এবং আক্রমণ উভয়ই করতে সক্ষম। এটি শত্রুর উপর নজর রাখে এবং CAM এবং আলমাস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও আক্রমণ করতে পারে। এটি কেবল দীর্ঘ দূরত্ব উড়তে পারে না, এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতও করতে পারে।
রাশিয়ান ওয়েব ল্যানসেট
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই রাশিয়ান ড্রোনটি প্রচুর ব্যবহৃত হয়েছে। একে লোটারিং মিনিশন ড্রোনও বলা হয়। এক অর্থে, এটি একটি উড়ন্ত বোমা, যার ওজন প্রায় ১২ কিলোগ্রাম। এই ড্রোনটিতে ৩ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। জিপিএস এবং ক্যামেরার সাহায্যে এটি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে এবং সরাসরি আক্রমণ করে।