Uttarkashi: উত্তরকাশীতে জীবন মৃত্যুর ১৭ দিন, শ্রমিকরা পাইপের ভিতর দিয়ে বাইরে

বাইরে রোদ। ভিতরে টানা ১৭ দিনের অন্ধকার ধসে চাপা জীবনের ভয়াবহ স্মৃতি ফেলে রোদে এসে চোখ ধাঁধিয়ে গেল শ্রমিকদের। পাইপ বেয়ে তারা বের হলেন। সিল্কিয়ারা…

বাইরে রোদ। ভিতরে টানা ১৭ দিনের অন্ধকার ধসে চাপা জীবনের ভয়াবহ স্মৃতি ফেলে রোদে এসে চোখ ধাঁধিয়ে গেল শ্রমিকদের। পাইপ বেয়ে তারা বের হলেন। সিল্কিয়ারা টানেল গেটে অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দলগুলি সুড়ঙ্গের ভিতরে যায়। সুড়ঙ্গের কাছে চিকিৎসকের দলও রয়েছে। উত্তরকাশীতে (Uttarkashi) জীবন মৃত্যুর ১৭ দিন  শ্রমিকরা পাইপের ভিতর দিয়ে বাইরে এসেছেন।

চারিদিকে আনন্দের আবহ। শ্রমিকদের স্বাগত জানাতে আনা হয় মালা। প্রথম পর্যায়ে  ১৫ জন শ্রমিক বেরিয়ে আসেন। উদ্ধারকারী দল ৫৭ মিটারে ব্রেকথ্রু পেয়েছে। প্রধান সুড়ঙ্গের ভেতরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন চিকিৎসক দল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং এবং মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সরিয়ে নেওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সিল্কিয়ারা-বারকোট টানেলের একটি অংশ ১২ নভেম্বর ধসে পড়ার পর দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের কাজে বিশ্বজোড়া নজর ছিল। ৪১ জন কর্মীকে নিতে টানেল গেটে অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দলগুলি সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢাকা। সুড়ঙ্গের কাছে চিকিৎসকের দল রাখা হয়।

বিভিন্ন খনি থেকে কাঁচামাল উত্তোলনের জন্য ‘ইঁদুরের গর্ত’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বিশেষত কয়লা খনিতে এই প্রক্রিয়া খুবই পরিচিত। এর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞ শ্রমিকেরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে খনিতে নামেন। তাঁরা অল্প জায়গা নিয়ে সরু গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে এগিয়ে চলেন। ঠিক যেমন করে গর্ত খোঁড়ে ইঁদুর। প্রয়োজনীয় কয়লা তুলে আবার ওই একই পদ্ধতিতে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।  উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের ধস থেকে ৪১ জন শ্রমিককে বার করতে সর্বশেষ সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।