জিন্দাল স্টিলের অন্তর্ভুক্ত ভলকান গ্রিন স্টিলের সিইও দীনেশ সারাওগিয়ের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির ক্লিপিং দেখিয়ে তাঁর শরীর স্পর্সের অভিযোগ করলেন এক তরণী। কলকাতা থেকে আবুধাবি যাচ্ছিল ইতিহাদ উড়ান। ওই উড়ানের গন্তব্য ছিল বোস্টন। তাতেও সওয়ারি ছিলেন দীনেশ ও অভিযোগকারিণী তরুণী। সেখানেই কুরুচিকর ঘটনা ঘটেছে বলে সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন তরুণী। চলন্ত উড়ানে তাঁকে সহায়তার জন্য বিমান কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এক্স হ্য়ান্ডেলে অভিযোগকারিণী পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “আমি বিমানে একজন শিল্পপতির পাশে বসে ছিলাম (দীনেশ কে. সারোগি, জিন্দাল স্টিলের সিইও)। তাঁর বয়স প্রায় ৬৫। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, উনি (দীনেশ কে. সারোগি) এখন ওমানে থাকেন। কিন্তু প্রায়ই ভ্রমণ করেন। তিনি আমার সঙ্গে কথা এগোতে শুরু করলেন। আমাদের শিকড়, পরিবার ইত্যাদি সম্পর্কে খুব সাধারণ কথোপকথন করছিলেন। জানান যে, তাঁর দুই ছেলেই বিবাহিত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। কথোপকথনের মাঝেই আমার শখ সম্পর্কে জানতে চান। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, আমি সিনেমা দেখতে পছন্দ করি কিনা। জবাবে আমি হ্যাঁ বলেছিলাম। তারপর তিনি আমাকে বলেন যে তাঁর ফোনে কিছু সিনেমার ক্লিপ আছে। সেই ক্লিপ আমাকে দেখান। ইয়ারফোন বের করে আমার দেন। দেখি সিনেমার ক্লিপগুলো সব অশ্লীল।”
মহিলার বর্ণনায় এরপরই ঘটে আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা। অভিযোগকারিণীর বিবরণ অনুয়ায়ী, “তিনি (দীনেশ কে. সারোগি, জিন্দাল স্টিলের সিইও) আমাকে এরপরই ছোঁয়ার চেষ্টা শুরু করেন। আমি হতভম্ব হয়ে যাই এবং ভয় পেয়েছিলাম। অবশেষে আমি দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যাই এবং বিমান কর্মীদের কাছে অভিযোগ করি। সৌভাগ্যক্রমে ইতিহাদ বিমানের ক্রু টিম খুব ভালো ছিল এবং পদক্ষেপ করেছিল। বিমানের কর্মীরা আমাকে তাঁদের বসার জায়গায় বসিয়েছিলেন এবং আমাকে খাবার পরিবেশন করেন।”
ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ! সীমান্ত পেরিয়ে প্রাণভয়ে ভারতে ফিরছেন পড়ুয়ারা
তরুণীর দাবি, তাঁর এক্স পোস্ট জিন্দাল গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন নবীর জিন্দালের নজরে পড়ে। তিনি দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন। সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগকারিণীর উদ্দেশে জিন্দাল লিখেছেন, “আপনাকে সবটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ! আপনি যা করেছেন তা করতে অনেক সাহসের প্রয়োজন এবং আমি আপনাকে জানাতে চাই যে এই জাতীয় বিষয়ে আমাদের সংস্থা জিরো টলারেন্স নীতি নেয়। আমি বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছি এবং তারপরে কঠোরতম, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
মহিলার অভিযোগ যে, আমি পাশে না থাকায় বিমান সেবিকাদের আমার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত দীনেশ কে. সারোগি।
আবুধাবিতে নেমে অবশ্য পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি মহিলা। কারণ, সেই সময় বস্টন যাওয়ার জন্য উড়ান চাড়তে মাত্র ১ ঘন্টা বাকি ছিল। তবে, উড়ান থেকে অভিযুক্তকে নামতে দেওয়া হয়নি, পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।