এক গৃহবধূকে আটকে রেখে তার আড়াই বছরের ছেলের সামনে টানা ৭৯ দিন ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছে। তবে আগাম খবর পেয়ে পালিয়ে গিয়েছে ওই তান্ত্রিক। পলাতক তান্ত্রিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ওড়িশা (Odisha) পুলিশ।
নির্যাতিত মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁর উপর চরম অত্যাচার চলত। কিছুদিন আগে ওই তান্ত্রিক তাঁদের বাড়িতে আসে। তান্ত্রিক বাড়ির লোকজনকে জানায়, যদি ওই মহিলা তার সঙ্গে কয়েক মাস থাকেন তাহলে সব সমস্যার সমাধান হবে। দূর হবে পারিবারিক অশান্তি। কিন্তু নির্যাতিতা তান্ত্রিকের ওই প্রস্তাবে রাজি হননি।
তাই একদিন তাঁর অজান্তেই খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর মহিলা জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরলে দেখেন, একটি ঘরে তাঁকে বন্দি রাখা হয়েছে। পাশেই রয়েছে তাঁর আড়াই বছরের শিশু পুত্র। এরপর দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে ওই তান্ত্রিক তাঁর ওপর নিয়মিত অত্যাচার করত। প্রতিদিন তাঁকে ধর্ষণ করা হতো।
নির্যাতিতা জানান, একদিন ওই তান্ত্রিক ঘরের মধ্যে মোবাইল ফোনটি ফেলে চলে যায়। তারপর সেই মোবাইল থেকেই নিজের বাপের বাড়িতে খবর দেন ওই মহিলা। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
মহিলা ওই তান্ত্রিক ছাড়াও তাঁর স্বামী, দেওর এবং শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতা করেনি। চরম মানসিক অবসাদে ভোগা ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।