চুলের মুটি ধরে মাটিতে ফেললেন বৃদ্ধা শাশুড়িকে, ব্যাপক মার স্বামীকে! শিউরে উঠল নেটিজেনরা

মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে উঠে এসেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা৷ এক বৃদ্ধা এবং তাঁর ছেলের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালব তাঁর পুত্রবধূ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ৪ এপ্রিলের৷…

Rajasthan,CM, Breaking News

মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে উঠে এসেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা৷ এক বৃদ্ধা এবং তাঁর ছেলের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালব তাঁর পুত্রবধূ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ৪ এপ্রিলের৷ সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

শাশুড়িকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর জন্য চাপ Woman beats husband and mother-in-law

অভিযোগকারী বিশাল বাত্রা জানান, তাঁর স্ত্রী নীলিকা দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর ৭০ বছর বয়সী মা সরলা বাত্রাকে বাড়ি থেকে বের করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর জন্য। তবে মায়ের প্রতি তার দায়িত্ববোধের কারণে বিশাল তা করতে অস্বীকার করেন। এর ফলে তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত।

   

ঘটনার দিন নীলিকা তাঁর বাবা এবং ভাইকে বাড়িতে ডেকে আনে। অভিযোগ অনুযায়ী, নীলিকার ভাই বিশালকে বেধড়ক মারধর করেন এবং সরলা বাত্রাকে চুল ধরে মাটিতে ফেলে নৃশংসভাবে আঘাত করেন। সিসিটিভি ফুটেজে সরলার উপর এই নির্মম নির্যাতনের দৃশ্য ধরা পড়ে, যা হৃদয়বিদারক।

প্রতিদিন মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন Woman beats husband and mother-in-law

সরলা বাত্রা জানান, তাঁর পুত্রবধূ তাঁকে প্রতিদিন মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ জানাননি, কারণ তিনি তাঁর ছেলেকে সমস্যায় ফেলতে চাননি। তবে, যখন তাঁর ছেলের উপরেও হামলা হয়, তখন তিনি বাধা দেন এবং সেই সময় তাঁকেও নির্মমভাবে আঘাত করা হয়।

জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরলা এবং বিশাল স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁরা জানান, নীলিকার বাবা এবং ভাই থানার মধ্যেও তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। বর্তমানে মা এবং ছেলে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য সাহায্য চাইছেন।

Advertisements

প্রধান পুলিশ সুপার রবিন জৈন জানান, সরলা বাত্রার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা শাশুড়ির করা অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রেকর্ড করেছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই ঘটনা শুধু পারিবারিক অশান্তির একটি উদাহরণ নয়, এটি আমাদের সমাজে বয়স্ক নাগরিকদের প্রতি আচরণের একটি জ্বলন্ত প্রশ্ন তুলে ধরেছে। পরিবার এবং সমাজে মানবিকতার পুনরুজ্জীবন একান্ত প্রয়োজন। সরলা বাত্রা এবং বিশাল যেন তাদের ন্যায্য বিচার পান, সেটাই একান্ত কাম্য।