Defence Projects: ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ (NBWL) লাদাখে সেনাবাহিনীর জন্য 11টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পগুলি চিন সীমান্তের কাছে সংরক্ষিত এলাকায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক এবং গোলাবারুদ স্টোরেজের মতো সুবিধা। গত মাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বে NBWL-এর স্থায়ী কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এলএসির কাছাকাছি সেনাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়বে। এই প্রকল্পগুলো সেনাবাহিনীকে উন্নত যোগাযোগ ও সম্পদ প্রদান করবে। NBWL চাংথাং এবং কারাকোরাম নুব্রা শয়োক বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। চাংথাংয়ে 10টি এবং কারাকোরামে 1টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। চাংথাং অভয়ারণ্যেও একটি আবর্জনা প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে, যা হবে হ্যানলে গ্রামে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে পদাতিক ক্যাম্প, আর্টিলারি রেজিমেন্ট পোস্ট, মোবাইল টাওয়ার, বোট শেড, গোলাবারুদ স্টোর এবং ট্রাফিক পোস্ট। এই সমস্ত নির্মাণ LAC এর কাছাকাছি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
শর্ত কী?
এনবিডব্লিউএল কিছু শর্তের সাথে এই প্রকল্পগুলি অনুমোদন করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে নিশ্চিত করতে হবে এগুলো যাতে পরিবেশের ক্ষতি না করে। স্থানীয় প্রাণী এবং তাদের বাসস্থানের উপর ন্যূনতম প্রভাব নিশ্চিত করার জন্যও যত্ন নেওয়া উচিত। চাংথাং এবং কারাকোরাম অভয়ারণ্যে তুষার চিতাবাঘ, তিব্বত অ্যান্টিলোপ, তিব্বতি বন্য গাধা এবং তিব্বতি নেকড়ে-এর মতো বিরল প্রাণীর আবাসস্থল। অনেক প্রজাতির পাখিও এখানে বাস করে। এখনও পর্যন্ত NBWL-এর স্থায়ী কমিটি চাংথাং অভয়ারণ্যে 2,967 হেক্টরের বেশি এলাকা জুড়ে 107টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এতে সেনাবাহিনীর কী লাভ হবে?
এই সিদ্ধান্ত সীমান্ত নিরাপত্তা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা। সেনাবাহিনী আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাবে, পরিবেশেরও খেয়াল রাখা হবে। NBWL এটাও নিশ্চিত করেছে যে নির্মাণ কাজ শুরু করার আগে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করা হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে প্রকল্পগুলি স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ন্যূনতম ক্ষতি করে। এই পদক্ষেপ সীমান্ত এলাকায় উন্নয়ন ও নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে স্থানীয় মানুষ এবং বন্যপ্রাণী উভয়ই উপকৃত হবে। NBWL আরও স্পষ্ট করেছে যে নির্মাণ কাজের সময় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে।