Delhi High Court: বুস্টার ডোজ সরকার দেবে না কেন, কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি আদালতের

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: করোনার মতো মারণব্যাধি প্রতিরোধ করতে কেন বুস্টার ডোজ (booster dose) দেওয়া হবে না, কেন্দ্রের কাছে তার জবাব চাইল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High…

covid booster shot

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: করোনার মতো মারণব্যাধি প্রতিরোধ করতে কেন বুস্টার ডোজ (booster dose) দেওয়া হবে না, কেন্দ্রের কাছে তার জবাব চাইল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court )। শুক্রবার আদালত স্পষ্ট জানায়, আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কখনওই বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত বিষয়ে যত শীঘ্র সম্ভব কেন্দ্রীয় সরকারকে (central goverment) তার মতামত জানাতে বলল হাইকোর্ট।

করোনা প্রতিরোধ করতে ইতিমধ্যেই আমেরিকা (America) ও ইউরোপের (Europe) কয়েকটি দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, ভারত সরকার চাইছে চলতি বছরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে টিকার দু’টি ডোজ দিতে। যদিও সরকার নিজের ঠিক করা সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। চলতি পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ নিয়ে মোদী সরকারকে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্টভাবে জানাতে বলল দিল্লি হাইকোর্ট।

এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সিংঘি এবং বিচারপতি জসমীত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে করোনা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয়। এই মামলায় দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বুস্টার ডোজ নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের মতামত খতিয়ে দেখেন। বেঞ্চ এদিন বলে, বুস্টার ডোজের বিষয়ে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা কোনও জোরদার সওয়াল করেননি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে রোগ প্রতিরোধ করতে হলে বুস্টার ডোজ আবশ্যিক।

আমরা জানি, বুস্টার ডোজ দেওয়া যথেষ্টই ব্যয়বহুল। তবে দেশের মানুষের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সকলকেই একেবারে বিনামূল্যেই বুস্টার ডোজ দিতে হবে। দেশের খুব কম মানুষই আছেন যারা এই বুস্টার ডোজ কিনবেন। সরকারের উচিত নয়, মানুষের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখে বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। যেহেতু বুস্টার ডোজ দেওয়ার খরচ অনেকটা বেশি সম্ভবত সে কারণেই সরকার এখনই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে না। যদিও এটা একেবারেই ঠিক নয়।

কারণ আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা দেখেছি। নতুন করে আমরা ফের এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাই না। সে কারণেই বুস্টার ডোজ দেওয়া আবশ্যিক। তাই সরকার জানাক, বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে তারা কী ভাবনাচিন্তা করছে।

একইসঙ্গে বেঞ্চ এদিন বলে, ভ্যাকসিনের বহু ডোজ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেই সমস্ত ভ্যাকসিনের মেয়াদও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। তাই আরও জোর গতিতে টিকাকরণ করতে হবে।

শিশুদের টিকাকরণ নিয়েও দুই বিচারপতির বেঞ্চ এদিন মুখ খুলেছে। বিচারপতিরা বলেন, বিশ্বের বহু দেশে ইতিমধ্যেই শিশুদের টিকাকরণ চলছে। আমাদের দেশেও স্কুল-কলেজ খুলে গিয়েছে। তাই শিশুদের টিকাকরণও দ্রুত শুরু হওয়া দরকার। এ বিষয়ে সরকার কী ভাবছে তা আমাদের জানা দরকার।