ভারতের (India) ক্রুজ মিসাইল ব্যবস্থা অপারেশন সিন্দুরের সময় একটি নজিরবিহীন ও নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর অনুযায়ী, IAF Su-30 MKI ফাইটার জেট থেকে ১৫ থেকে ১৯টি ব্রহ্মোস মিসাইল ছুড়ে মিশন সম্পন্ন করেছে এবং প্রায় প্রতিটি মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করেছে। মাত্র ২০ মিনিটের এই অভিযানে পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের (PAF) ১১টি পর্যন্ত বেস ধ্বংস বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ইসলামাবাদকে হকচকিয়ে দেয় এবং তাদের কৌশলগত সিদ্ধান্তগুলোর পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে।
অভিনব বিষয় হলো, ব্রহ্মোসের প্রশংসা এসেছে শুধুমাত্র নয়াদিল্লি থেকে নয়; পাকিস্তানের নিজস্ব নেতৃত্বও এই মিসাইলের কার্যকারিতা স্বীকার করেছে। আর্জারবাইজানে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেখবাজ শরিফ একটি বিস্ময়কর স্বীকারোক্তি দেন। তিনি জানান, মে ১০-এ পরিকল্পিত পাকিস্তানি সামরিক অভিযানটি বাতিল করতে হয়েছে, কারণ ভারতীয় ব্রহ্মোস হামলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির বিমানবন্দরও। এমনকি পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতেও পারছিল না। আরও বিস্তৃত তথ্য প্রদান করে পাকিস্তানের এক সিনিয়র নেতা রানাসানা উল্লাহ জানান, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। তাঁর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, Nur Khan বিমানবেসে ব্রহ্মোস আঘাত করার আগে PAF কর্মীদের মাত্র ৩০–৪৫ সেকেন্ডের সতর্কতা সময় দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “ভাবুন তো, যদি এটি পারমাণবিক হতো।” এই মন্তব্য প্রকাশ করে যে, ব্রহ্মোস মিসাইল পাকিস্তানের কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কতটা ভয় ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে।
