পাটনা: পরিবর্তন চান! তবুও বিধানসভা নির্বাচনে ময়দানে নেই বিহারের ছেলে কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)! জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) পড়াশুনো শেষ করে ২০১৯-এ কমিউনিস্ট পার্টির (CPI) হয়ে বেগুসরাইয়ে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন কানহাইয়া কুমার। কিন্তু বিজেপির গিরিরাজ সিং-এর কাছে পরাজিত হন তিনি।
এরপর দল বদলে কংগ্রেসের টিকিটে উত্তর-পশ্চিম দিল্লি থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েও পরাজিত হন। বিহারের পরিবর্তন চান। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election) বিহারের জনগণের জন্য কাজ করার সবচেয়ে সহজ এবং সংক্ষিপ্ত পথ হলেও প্রাক্তন ছাত্র নেতা বর্তমানে জাতীয় রাজনীতির দিলেই বেশি মনোযোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমি দিল্লিতে পড়াশুনো করতে গেছি, রাজনীতি নয়। যদি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় ভালো হত, তাহলে আমাকে বাড়ি ছেড়ে যেতে হত না। কিন্তু রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়ার পর আমাকে তো দলের কথা মেনেই চলতে হবে!”
কানহাইয়ার পাখির চোখ কি তবে লোকসভা নির্বাচন?
নিজের রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরিবর্তে লোকসভা নির্বাচনকেই (Loksabha Election) সম্ভবত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন জেএনইউ-এর এক্সময়ের দাপুটে ছাত্রনেতা। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচন একটি জাতীয় নির্বাচন। দল যেখানেই আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলবে, আমি সেখানেই যাব। প্রধানমন্ত্রীও (নরেন্দ্র মোদী) তো বারাণসীতে (তাঁর লোকসভা নির্বাচনী এলাকা) জন্মগ্রহণ করেননি। দল চাইলে আমি আন্দামান-নিকোবরেও যেতে পারি।”
“আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়”
বিহারের মানুষের উপহার করা তাঁর একার হাতে নেই, বলে উল্লেখ করলেন কানহাইয়া (Kanhaiya Kumar)। তিনি বলেন, “এটা কারও একার পক্ষে সভবব নয়। এটা দলীয়ভাবে করার কাজ। বিহারের মানুষের জন্য আমার একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়।”
এরপর বিহারের মানুষদের উদ্দেশ্যে কানহাইয়া বলেন, “আমি বলতে চাই যে যদি আপনারা বর্তমান সরকারকে নিয়ে খুশি, তাহলে আমার আপনাদের সমর্থন দাবি করার কোনও অধিকার নেই। কিন্তু যদি আপনি শাসক দলের উপর খুশি না হন, তাহলে বিহারে পরিবর্তন আনতে আপনার ভোট সঠিকভাবে ব্যবহার করুন”।
