পাইকারি পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছল ৬.৯৫ শতাংশে, চাল ডালের দামে আগুন লাগবে

করোনাজনিত কারণে মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। বেশিরভাগ মানুষেরই রোজগার কমেছে। দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও (inflation) থমকে গিয়েছে। জ্বালানি থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম…

Wholesale price inflation rose

করোনাজনিত কারণে মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। বেশিরভাগ মানুষেরই রোজগার কমেছে। দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও (inflation) থমকে গিয়েছে। জ্বালানি থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়েছে যে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এই অবস্থায় জানা গেল, মার্চ মাসে দেশের পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে প্রায় ৭ শতাংশে পৌঁছেছে।

ফেব্রুয়ারি মাসে পাইকারি পণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.০৭ শতাংশ। কিন্তু মার্চ মাসে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৬.৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১ শতাংশের মতো। এর ফলে চাল, ডাল, তেল, নুন থেকে শুরু করে কাঁচা শাকসবজি সবকিছুর দাম আরও বাড়বে বলে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা।

কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, এই নিয়ে টানা তিন মাস পাইকারি বাজারের মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের উপরে ঘোরাফেরা করছে। মার্চ মাসে সেটা আরও বেড়ে প্রায় ৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এতদিন ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সেটা সম্ভব হওয়া তো দূরের কথা বরং সেই হার দ্বিগুণ হতে চলেছে।

যে হারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ছে তাতে আগামী মাসেই যে সেটা ৮ শতাঁশে পৌছবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। ফলে এটা বলা যায় যে, বাজারের অগ্নিমূল্য এখনই কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি হলে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে তার প্রভাব পড়ে।

আরবিআই তার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ থেকে কমে ৭.২শতাংশ হতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫.৭ শতাংশে পৌঁছতে পারে।