রবিবার সকালে মুম্বইতে ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর কাণ্ড। মুম্বইয়ের ওরলিতে একটি বিএমডব্লিউ ধাক্কা মারে মাছ বিক্রেতা দম্পতির স্কুটিতে। তখন সেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন শিবসেনা (শিণ্ডেপন্থী) নেতার ছেলে মিহির শাহ। পিছন থেকে স্কুটিকে বিএমডব্লিউ ধাক্কায় উড়ে যান প্রদীপ নাখভা ও কাবেরী। কাবেরীকে ১০০ মিটার পর্যন্ত টেনে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় মহিলার। প্রদীপ লাফ দিতে পারায় কোনও মতে প্রাণে বেঁচে যান। এই ঘটনায় শিবসেনার শিণ্ডেপন্থী নেতার ২৪ বছর বয়সী মিহির শাহ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন, সে এখন পলাতক।
মিহির শাহ কে?
মিহির শাহ মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার শিবসেনার নেতা রাজেশ শাহের ছেলে। মিহির দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে এবং তারপর বাবার নির্মাণ ব্যবসায় যোগ দেন।
দুর্ঘটনার আগের রাতে মিহির গভীর রাত পর্যন্ত জুহুতে মদ্যপান করে ছিলেন। মাতাল অবস্থায় তিনি তার ড্রাইভার রাজেন্দ্র সিং বিজাওয়াতকে লং ড্রাইভে নিয়ে যেতে বলেন।
জুহু থেকে ওরলি যাওয়ার পরে, তিনি ড্রাইভারকে বলেছিলেন যে, বাকি পথ তিনি নিজেই গাড়ি চালাবেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পরে, অভিযুক্ত মিহির গাড়িতে লাগানো শিবসেনার স্টিকার খুঁটে খুঁটে তুলে দেন। গাড়িটি তার বাবার হওয়ায় নম্বর প্লেটটিও সরিয়ে ফেলেছিল।
এরপর বান্দ্রা কলানগরে গাড়ি রেখে পালিয়ে যান।
তিনি তাঁর বাবাকে দুর্ঘটনার কথা জানাতে ফোন করেন এবং তারপরে মোবাইলটি বন্ধ করে দেন। পুলিশের সন্দেহ, দুর্ঘটনার পর তাঁর প্রেমিকা মিহির শাহকে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিলেন।
বর্তমানে কী অবস্থা?
মিহিরের বাবা রাজেশ শাহ এবং তাঁর চালক রাজেন্দ্র সিং বিজাওয়াতকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশকে সহযোগিতা না করার অভিযোগে রবিবার সন্ধ্যায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয় এবং সোমবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হবে।
গাড়িটি মহিরের বাবা রাজেশ শাহের। ওয়ারলি পুলিশ মিহিরের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, হত্যা, জীবন বিপন্ন করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে।
বর্তমানে পুলিশের চারটি দল মিহিরকে খুঁজছে।