নিরাপত্তা কোথায়? এবার খোদ তামিলনাড়ুর স্কুলেই নির্যাতিতা ছাত্রী

চারিদিকে যখন উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান, এর মধ্যেই তামিলনাড়ুর একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পাশবিক ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি…

চারিদিকে যখন উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান, এর মধ্যেই তামিলনাড়ুর একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পাশবিক ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি জেলার একটি স্কুলে। ৩ জন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং পকস ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্যাতিতা আপাতত হাসপাতে ভর্তি।

সূত্রের খবর অনুযায়ী নির্যাতিতা নাবালিকা এলাকার ই একটি স্কুলে পড়তো। অভিযোগ, স্কুলেরই তিনজন শিক্ষক তাকে ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছিল। গত একমাস স্কুলে না যাওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয় এবং স্কুলের তরফ থেকে বাড়িতে খবর নিলে এই নির্যাতনের ঘটনাটি সামনে আসে। সামাজিক সম্মান এবং ভয়ের কারণে নির্যাতিতার পরিবার ঘটনাটি চেপে যায়। পরে স্কুলের প্রিন্সিপালের হস্তক্ষেপে নির্যাতিতার মা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।

   

ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যদিও ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার এবং এলাকার মানুষ অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি চাইছেন। ভরসার জায়গা স্কুল, অথচ সেখানেই নিজের শিক্ষকদের হাতেই যৌন হেনস্থার শিকার হল এক ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে মেয়েটির আচরণে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছিল। সে চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল, কাউকে কিছু বলতে ভয় পাচ্ছিল। পরে পরিবারের চাপে সে সব খুলে বলে। তার অভিযোগ, স্কুলের তিন শিক্ষক একসঙ্গে মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছিল। এমনকি, কাউকে কিছু জানালে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।

Advertisements

এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, আগেও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু স্কুল প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং স্কুলগুলিতে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে নতুন নিয়ম কার্যকর করার আশ্বাস দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুরক্ষা আরও জোরদার করা দরকার। শিক্ষক নিয়োগের আগে কঠোর যাচাই-বাছাই করা উচিত এবং স্কুলে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। এই নৃশংস ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে—যদি স্কুলেই ছাত্রীরা নিরাপদ না থাকে, তবে আর কোথায়? সমাজ কি পারবে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দিতে? এখন সবার নজর পুলিশের তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে!

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News