মহা কুম্ভ সমাপ্ত! পরবর্তী কুম্ভ কোথায় এবং কবে অনুষ্ঠিত হবে?

নয়াদিল্লি: মহা শিবরাত্রির অমৃক স্নান দিয়ে শেষ হয়েছে কুম্ভ মেলা৷ উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে ৪৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মহা কুম্ভে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে৷ ১৪৪ বছর পর আসা মহা কুম্ভ প্রায় ৬৬ কোটি ভক্ত গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলীলা সরস্বতী নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সেরেছেন। এই মেলায় ভক্তের উপস্থিতি ছিল আমেরিকার জনসংখ্যার দ্বিগুণ৷ 

Advertisements

পরবর্তী কুম্ভ মেলা কবে?
পরবর্তী কুম্ভ মেলা ২০২৭ সালে মহারাষ্ট্রের নাসিক শহরে অনুষ্ঠিত হবে। নাসিকের ত্রিম্বকেশ্বর মন্দিরের কাছে গোদাবরী নদীর তীরে এই ধর্মীয় উৎসব আয়োজিত হবে। ২০২৭ সালের কুম্ভ মেলা হবে ১৭ জুলাই থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত। এটি হবে তীর্থযাত্রীদের জন্য এক অসাধারণ সুযোগ, কারণ নাসিক ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান এবং এখানে রয়েছে ত্রিম্বকেশ্বর শিব মন্দির, যা ভারতের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে অন্যতম।

   

কেন ৩ বছর পর পর কুম্ভ মেলা?
কুম্ভ মেলা প্রতি তিন বছর অন্তর চারটি শহরে আয়োজিত হয় — প্রয়াগরাজ, হারিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িন। এই মেলার সময়কাল অনুযায়ী, প্রতি ৪ বছরে কুম্ভ মেলা, ৬ বছরে অর্ধ কুম্ভ মেলা, এবং ১২ বছরে একবার পূর্ণ কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের মহা কুম্ভ মেলা ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

মহা কুম্ভ মেলা ২০২৫-এর শীর্ষ মুহূর্ত
মহা কুম্ভ মেলা ২০২৫-এ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ যোগ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, এবং বড় বড় ব্যবসায়ী মহাশয় মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি। বলিউডের তারকা অক্ষয় কুমার, ক্যাটরিনা কাইফ, বিকি কৌশল সহ আরও অনেক সেলিব্রিটি এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, কোল্ডপ্লে ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী ক্রিস মার্টিনও উপস্থিত ছিলেন, যা কুম্ভ মেলার আন্তর্জাতিক সাড়া আরও বৃদ্ধি করেছে।

Advertisements

এছাড়া, ৭৭টি দেশের ১১৮ জন কূটনীতিকও এই মহৎ ধর্মীয় উৎসবে যোগ দেন। কুম্ভ মেলা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হিসেবে প্রতিটি বছর নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়, এবং ২০২৫ সালে এটি তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে।

এই বিশাল ধর্মীয় সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গুরুত্ব, কুম্ভ মেলাকে শুধু ভারতের নয়, সারা বিশ্বের এক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ইভেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।