কেন্দ্রীয় বাজেট মানেই বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি-হ্রাস৷ ২০২৫-২৬ অর্থ বর্ষেও কোন কোন জিনিসের দাম কমবে বা কোন কোন দ্রব্য মহার্ঘ্য হবে, সে দিকে নজর ছিল দেশবাসীর৷
বাজেটের পর মনে করা হচ্ছে মোবাইল ফোনের দাম কমতে পারে। এছাড়াও ক্যানসার-সহ দুরারোগ্য রোগের জন্য ব্যবহৃত ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধের উপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়ায় দাম কমতে চলেছে৷
এছাড়াও লিথিয়াম ব্যাটারির উপর থেকে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। মোবাইল থেকে বৈদ্যুতিন গাড়ি তৈরির শিল্পে লিথিয়াম অপরিহার্য৷ বৈদুতিন গাড়ির ব্যাটারির দাম কমায় বৈদুতিন গাড়িও দাম কমতে চলেছে৷
এছাড়ও হিমায়িত মাছের লেই বা ‘সুরিমি’র দাম কমানো হচ্ছে। সুরিমির পণ্য তৈরি এবং রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
ভেজা নীল চামড়ার দাম কমানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চর্মজাত দ্রব্যের দাম কমতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সস্তা হবে জুতো, বেল্ট, ব্যাগের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। এছাড়াও, ক্যারিয়ার-গ্রেড ইথারনেটের সুইচ এবং এলসিডি/এলইডি টিভির ‘সেল’-এর দামও এবার খানিকটা কমবে।
দাম কমবে কোবাল্টজাত পণ্য, সামুদ্রিক যানের দাম। সীসা, দস্তা-সহ ১২টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মৌলিক ও ১০ বছরের জন্য জাহাজ তৈরির কাঁচামালের উপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বাজেটের পর বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়তেও চলেছে৷
‘ইন্টার্যাক্টিভ ফ্ল্যাট-প্যানেল ডিসপ্লে’র শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। যের ফলে বেশ কিছু স্মার্ট টিভির দাম বাড়তে পারে৷ খরচ বাড়তে পাকে বোনা কাপড়েরও ক্ষেত্রেও৷
বাজেটে প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওষুধ এবং কাঁচামালের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় স্বাস্থ্যসেবা এবং উত্পাদন শিল্পে, বিশেষত জাহাজ নির্মাণ এবং ইলেকট্রনিক্সে খরচ কমিয়ে দেবে।
বাজেটে প্রবীণ নাগরিকদের জন্যে বড় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের পরিমাণ এক লক্ষ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।