Microwave Missile: আমেরিকা ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে, তবে তার সামরিক প্রস্তুতিও ভিন্ন ফ্রন্টে অব্যাহত রয়েছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মার্কিন বিমান বাহিনী নিঃশব্দে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে পারে এমন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। Dailymail.com এই দাবি করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে যেকোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে নিমিষেই ধ্বংস করা যাবে।
এই মিসাইলগুলি ‘কাউন্টার-ইলেক্ট্রনিক্স হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ অ্যাডভান্সড মিসাইল প্রজেক্ট’ (CHAMP) নামে পরিচিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাইক্রোওয়েভ মিসাইলগুলো বোয়িং এর ফ্যান্টম ওয়ার্কস ইউএস এয়ার ফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির জন্য তৈরি করেছে। 2012 সালে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর পরে আমেরিকা বিশ্বব্যাপী এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি মোতায়েন করে এবং সেগুলি 2019 সাল থেকে চালু রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকা এমন এক সময়ে ইরানের কথা মাথায় রেখে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে যখন ইজরায়েল ইরানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। সর্বোপরি, মাইক্রোওয়েভ মিসাইল কতটা বিপজ্জনক, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
What is Microwave Missile?
প্রতিবেদনে বলা হয়, শত্রুকে লক্ষ্য করে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র লাগানো হয়। এটি 700 মাইল রেঞ্জ সহ কম উচ্চতায় উড়ে শত্রু অঞ্চলে পৌঁছাতে পারে। এগুলো থেকে নির্গত হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ এনার্জি (HPM) কম্পিউটারের চিপগুলোকে পুড়িয়ে ফেলে। এইভাবে একটি মাইক্রোওয়েভ মিসাইল যেকোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে ধ্বংস করে দেয়।
এই মিসাইলটিতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ডাল রয়েছে, যা শক্তি উৎপন্ন করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মতো কাজ করে। এই শক্তি যখন ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিতে পৌঁছায়, তখন এটি তাদের ভোল্টেজ বাড়িয়ে দেয় এবং তাদের অকেজো করে দেয়। কথিত আছে যে আমেরিকা এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি গোপনে প্রস্তুত করেছে এবং 2012 সালের আগে তাদের সম্পর্কে কারও ধারণা ছিল না।