Weather Update: তাপমাত্রার পারদ কমতে থাকায় তীব্র ঠান্ডার কবলে পড়েছে গোটা উত্তর ভারত (North India)। রাজধানী দিল্লি সহ সমগ্র উত্তর ভারতে তীব্র ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। আজও দিল্লির সকালটা ভীষণ ঠান্ডা। বৃহস্পতিবার পারদ মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ায় দিল্লি অনেক পাহাড়ি এলাকার চেয়ে ঠান্ডা ছিল। যদিও আগামীকাল থেকে স্বস্তি আশা করা হচ্ছে।
দিল্লির আয়া নগর এবং রিজ সেন্টারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি গত দুই বছরের মধ্যে জানুয়ারি মাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি ঠাণ্ডা স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ৫০ মিটার পর্যন্ত দৃশ্যমানতা রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডেও একই ধরনের আবহাওয়ার ধরণ বিরাজ করছে। উত্তরপ্রদেশে, ঝাঁসি ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ রাজ্যের সবচেয়ে ঠান্ডা শহর ছিল। আবহাওয়া অধিদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা ঠান্ডা থেকে রেহাই মিলবে না।
আগামীকাল থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে:
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমী ঝড়ের কারণে ৭ জানুয়ারি থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে। পাহাড় থেকে আসা বরফের বাতাস সমতল অঞ্চলের মানুষকে তাদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখতে বাধ্য করেছে।
কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি ট্রেন
রেলওয়ের একজন মুখপাত্রের মতে, অন্তত ১২টি ট্রেন দেড় থেকে ছয় ঘণ্টা দেরিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছে এবং দুটির সময়সূচি পরিবর্তন করতে হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরও কুয়াশার কারণে কম দৃশ্যমানতার সতর্কতা জারি করেছে।
শিকার সমতল ভূমিতে সবচেয়ে ঠান্ডা
রাজস্থানের ফতেহপুর (সিকার) ছিল সমভূমিতে মাইনাস ১.৮ ডিগ্রি সহ সবচেয়ে ঠান্ডা। এর পরে, রাজস্থানের চুরু ছিল মাইনাস 1.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস সহ দ্বিতীয় শীতলতম স্থান। পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর এবং হরিয়ানার হিসারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিমলা-মুসৌরির চেয়ে দিল্লি ঠান্ডা ছিল
আবহাওয়া দফতরের মতে, বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে ডালহৌসি (৪.৯ ডিগ্রি), ধর্মশালা (৫.২ ডিগ্রি), কাংড়া (৩.২ ডিগ্রি), সিমলা (৩.৭ ডিগ্রি), দেরাদুন (৪.৬ডিগ্রি), মুসৌরি (৪.৪ ডিগ্রি), নৈনিতাল (৬.২ডিগ্রি) ) এটা ঠান্ডা ছিল