Uttarkashi: দম লাগাকে হেঁইও…ধস থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারে ঝাঁপাল সেনা

উত্তরকাশীর (Uttarkashi)সুড়ঙ্গে এক অন্ধকার জগতে আটকে ৪১ জন শ্রমিকের ভবিষ্যত। শ্রমিকদের বের করে আনতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। হায়দরাবাদ থেকে আনা হচ্ছে ম্যাগমা প্লাজমা কাটার।…

Indian army join rescue operation

উত্তরকাশীর (Uttarkashi)সুড়ঙ্গে এক অন্ধকার জগতে আটকে ৪১ জন শ্রমিকের ভবিষ্যত। শ্রমিকদের বের করে আনতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। হায়দরাবাদ থেকে আনা হচ্ছে ম্যাগমা প্লাজমা কাটার। তৈরী হচ্ছে বিকল্প পথ। এবার শ্রমিকদের প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাঁরাও এবার ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের কাজে হাত লাগিয়েছেন।

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে গত ১৫ দিন ধরে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধারকাজ চলাকালীন সঞ্জীবনী হিসাবে সকলের আশা জাগিয়েছিল আমেরিকান ‘অগার’ মেশিন। সেটি খারাপ হওয়াতে কাজের গতি কিছুটা কমলেও এবার সেই মেশিনকে কেটে বের করে আনার পালা। নাহলে সুড়ঙ্গের শেষ ১০ মিটার কাটা যাবে না।তাই হায়দরাবাদ থেকে উত্তরকাশীতে উড়িয়ে আনা হয়েছে ম্যাগমা কাটার মেশিন। যা দিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতরে অগার মেশিন কাটা হচ্ছে।

অপরদিকে উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের উপরে পাহাড়ের চূড়ায় উল্লম্ব খনন কাজ শুরু করেছে যাতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য একটি বিকল্প পথ তৈরি করা যায়।সেই কাজেই সহযোগিতা করছেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। এই পর্যায়ে সুড়ঙ্গের ছাদ থেকে যাতে নতুন করে ধস না নামে তার জন্য ছাদ বরাবর ছাতার মতো বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিতরে পাঠানো হয়েছে বিএসএনএলের ল্যান্ডলাইনও। যাতে আটকে থাকা শ্রমিকরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে যুক্ত এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে মোবাইল ফোনও পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা ভিডিও গেম খেলতে পারে। সুড়ঙ্গের আশেপাশে কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই তবে ওয়াই-ফাই সংযোগ দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। শ্রমিকরা যাতে ক্রিকেট খেলতে পারে, সেজন্য তাদের ক্রিকেট ব্যাট ও বল দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শ্রমিকরা খেলাধুলায় সময় কাটাতে পারবেন কারণ টানেলের ভেতরে যেখানে শ্রমিকরা আটকা পড়েছেন, সেখানে প্রচুর জায়গা রয়েছে। যাতে ক্রিকেট খেলা যায় সহজেই। এর আগে জানা যায়, শ্রমিকদের তাস ও লুডো পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ দিন ধরে উত্তরকাশীর টানেলে আটকে রয়েছেন বাংলার ৩ সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। বিগত কয়েকদিনে উদ্ধারকাজে গতি এসেছিল। তবে হিমালয়ের খামখেয়ালিপনার জেরে বারবারই থমকেছে ড্রিলিংয়ের কাজ। এর জেরে এখনও টানেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিককে।