Delhi University: ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমা চাওয়া সাভারকরের ধাক্কায় পিছিয়ে গেল গান্ধী ইতিহাস

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে বদলানো হল। সিলেবাসে ঢুকল সাভারকরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। হিন্দুত্ববাদী এই রাজনীতিক ব্রিটিশ সরকারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সরাসরি স্বা়ধীনতা আন্দোলন…

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে বদলানো হল। সিলেবাসে ঢুকল সাভারকরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। হিন্দুত্ববাদী এই রাজনীতিক ব্রিটিশ সরকারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সরাসরি স্বা়ধীনতা আন্দোলন থেকে সরে গেছিলেন এমনই একাধিক নথি আছে। সেই সাভারকরের ধাক্কায় পিছিয়ে গেল মহাত্মা গান্ধীর অধ্যায়টি।

পড়ু়য়াদের হয় ৩ অথবা ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি বেছে নেওয়ার বিকল্প রয়েছে। এর মানে যারা ৩ বছরের প্রোগ্রাম বেছে নিচ্ছেন তারা মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অধ্যয়ণ করতে পারবেন না।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল (এসি) মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএ পলিটিকাল সায়েন্স পাঠ্যক্রমের পঞ্চম সেমেস্টারে সাভারকরের ওপর একটি অধ্যায় পড়ানো হবে। এর ফলে মহাত্মা গান্ধীর অবদানের অধ্যায় পিছিয়ে সপ্তম সেমেস্টারে চলে গেল।

অধ্যাপকদেরএকাংশ এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন। তাদের অভিযোগ, সাভারকর সিলেবাসে ঢোকায় তাদের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু গান্ধীজির অধ্যায় পিছিয়ে দেওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নতুন সিলেবাস যেমন হয়েছে-
ইউনিট ১ – সাভারকর এবং ভারতীয় ইতিহাসগ্রন্থ
ইউনিট ২ – সাভারকর এবং ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন
ইউনিট ৩ – হিন্দুত্ব
ইউনিট ৪ – ভারতে সাভারকর এবং ভাষা প্রশ্ন
ইউনিট ৫ – ধর্মান্তর
ইউনিট ৬ – অস্পৃশ্যতা এবং বর্ণ সমীকরণ

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য অলোক রাজন পান্ডে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “গান্ধীকে এখন সপ্তম সেমিস্টারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এটাই সমস্যা। সাভারকার পড়ান, কিন্তু যখন গান্ধীর খরচে এটা করা হচ্ছে, তখন আমরা এতে আপত্তি জানিয়েছিলাম।”

তিনি বলেন,”আমাদের যুক্তি কালানুক্রমের ওপর ভিত্তি করে। যেহেতু গান্ধী সাভারকর এবং বিআর আম্বেদকরের আগে এসেছিলেন, তাই তাদের আগে তাকে অধ্যয়ন করা উচিত, “

বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতীয় শিক্ষা নীতির (এনইপি) অংশ হিসাবে একটি চার বছরের প্রোগ্রাম গ্রহণ করেছে, এবং পড়ু়য়াদের হয় তিন বছরের স্নাতক ডিগ্রি বা চার বছরের স্নাতক প্রোগ্রাম বেছে নেওয়ার বিকল্প রয়েছে। এর মানে, যারা ৩-বছরের প্রোগ্রাম বেছে নিচ্ছেন তারা মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অধ্যয়ণ করতে পারবেন না।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে কখনও সাভারকরের উপর পূর্ণ একটি অধ্যায় পড়ানো হয়নি। নতুন পাঠ্যক্রমের বিরোধিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক। তাঁরা সাভারকরের অধ্যায় যুক্ত করার বিরোধিতা করেননি। তাঁদের মূল আপত্তি গান্ধীর অধ্যায়টি পিছিয়ে যাওয়ায়।