জ্ঞানবাপী বিতর্ক ভুলে বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্তর শাস্তি চায় বারাণসী

জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গের অবস্থান নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে দেশজুড়ে৷ এই বিতর্ক সরিয়ে আপাতত ১৬ বছর আগে বারাণসীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণকান্ডে দোষীদের শাস্তির দাবীতে সরব…

জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গের অবস্থান নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে দেশজুড়ে৷ এই বিতর্ক সরিয়ে আপাতত ১৬ বছর আগে বারাণসীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণকান্ডে দোষীদের শাস্তির দাবীতে সরব হয়েছে বারাণসীর আম জনতা৷ সোমবার রায়।

বারাণসীবাসীর বক্তব্য, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সকলের শাস্তি হোক। তবে তদন্তের গতিবিধি নিয়েও সন্তুষ্ট নন অনেকেই।

শনিবার গাজিয়াবাদ আদালতে শুনানি পর্ব শেষ হয়েছে। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ওয়ালিউল্লাহ খানের সোমবার সাজা ঘোষণা৷

অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা ওয়ালিউল্লাহ বিস্ফোরক এবং প্রেসার কুকার তিন বাংলাদেশি জঙ্গিদের হাতে তুলে দিয়েছিল৷ পরে ওয়ালিউল্লাহ ধরা পড়লেও ১৬ বছর পরেও মূল অভিযুক্তরা অধরা। তবুও সেদিনের স্মৃতি এখনও ভুলতে পারছে না বারাণসীর মানুষ৷

২০০৬ সালের ৬ মার্চ৷ বিকেল ৬ টা ১৫ নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণ সঙ্কটমোচন মন্দিরে৷ ১৫ মিনিট পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। ঘটনায় প্রাণ হারান ২০ জন। আহত শতাধিক। ওই দিনেই দশাশ্বমেধ পুলিশ স্টেশন এলাকায় রেলওয়ে ক্রসিংয়ের কাছে একটি প্রেসার কুকারে বোমা উদ্ধার হয়৷

তিন ঘটনার মামলা থেকে বারাণসীর আইনজীবীরা দূরত্ব রেখেছিলেন৷ পরে এলাহাবাদ কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানি শুরু হয় গাজিয়াবাদ জেলা আদালতে। ঘটনায় ১২১ জন সাক্ষী হিসাবে আদালতে উপস্থিত হন। তবে দুটি ঘটনায় ওয়ালিউল্লাহের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করলেও একটি মামলায় তথ্য পেশ করতে পারেনি টাস্ক ফোর্স।

২০০৬ সালে যে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছিল, তাঁরা জানায়, ওয়ালিউল্লাহ খানের সঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন হারকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামির (হুজি) যোগ রয়েছে। সোমবার ওয়ালিউল্লাহ খানের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবেন বিচারপতি জীতেন্দ্র কুমার সিনহা।