শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের রেয়াসি জেলায় ত্রিকূট পর্বতের গুহামন্দিরে মাতা বৈষ্ণোদেবী যাত্রা অবশেষে শুরু হতে চলেছে। টানা প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে বেশ কিছু দিন বৈষ্ণোদেবী যাত্রী স্থগিত রাখা হয়েছিল৷ অবশেষে বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভক্তরা আবার যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন বলে ঘোষণা করেছে শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ড (SMVDB)। তবে বোর্ড স্পষ্ট জানিয়েছে, যাত্রা পুনরায় শুরু হবে শুধুমাত্র আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে।
নিরাপত্তার জন্য নতুন নিয়ম
শ্রাইন বোর্ডের তরফে এক্স (X) পোস্টে জানানো হয়েছে, “জয় মাতা দি বৈষ্ণোদেবী যাত্রা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে পুনরায় শুরু হবে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে। ভক্তদের অনুরোধ করা হচ্ছে অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে আপডেট থাকার জন্যে।” যাত্রীদের বৈধ পরিচয়পত্র বহন করা, নির্ধারিত পথ ব্যবহার করা এবং মাঠপর্যায়ের কর্মীদের নির্দেশ মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও নজরদারির স্বার্থে RFID-ভিত্তিক ট্র্যাকিং ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।
দীর্ঘতম স্থগিতাদেশ, করুণ বিপর্যয়ের ছাপ Vaishno Devi Yatra reopening
এর আগে বোর্ডের তরফে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রা চালু করার কথা ঘোষণা করা হলেও বৃষ্টিপাতের কারণে তা স্থগিত করা হয়।গত ২৬ অগাস্ট বিকেল ৩টার দিকে অধকুয়ারির কাছে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের অদূরে এক ভয়াবহ ভূমিধস ঘটে। প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট সেই বিপর্যয়ে প্রাণ হারান অন্তত ৩৪ জন ভক্ত, আহত হন আরও ২০ জন। দুর্ঘটনার পরই যাত্রা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই স্থগিতাদেশ ছিল কোভিড-১৯ পর্বের পর সবচেয়ে দীর্ঘ।
ট্র্যাক মেরামত, আশ্রয় ও বাণিজ্যিক কাঠামোর পুনর্নির্মাণ শেষে অবশেষে আবার ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে তীর্থপথ।
আধ্যাত্মিক গুরুত্ব
ত্রিকূট পর্বতের গুহামন্দির ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় হিন্দু তীর্থস্থান। দেবী মাতার এক রূপ মাতা বৈষ্ণোদেবী-কে নিবেদিত এই মন্দিরে পৌঁছতে কাটরার বেস ক্যাম্প থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাপথ অতিক্রম করতে হয়। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে এই যাত্রায়, যা বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক।