বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান। এবার উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ অগার মেশিন ছেড়ে হাতে কাটা শুরু করেছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে এখন ভরসা রাখা হচ্ছে শাবল ও গাঁইতির ওপরই। এদিকে আজ থেকে পাহাড়ের ওপর থেকে খনন কাজ শুরু হবে।উপর দিক থেকে খোঁড়া হলে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে ৮৬ মিটার ধ্বংসস্তূপ সরাতে হবে বলে জানা গিয়েছে। তাতে অনেকটাই সময় লাগবে।
অপরদিকে উদ্ধারকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুড়ঙ্গের ভেতরে এখন একটি নিরাপত্তা ছাতা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্যে বিএসএনএল ঘটনাস্থলে একটি ল্যান্ডলাইন সুবিধা স্থাপন করেছে। সিল্কিয়ারা টানেল উদ্ধার অভিযানের আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বলেছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে এক মাস সময় লাগতে পারে এবং ৪১ জনের সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসবেন।
আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বলেন, ‘আমি জানি না তারা কবে ফিরবে। আমাদের তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে তা হলো সবাই যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসে। আমি বিশ্বাস করি তারা ক্রিসমাসের আগে বাড়ি ফিরে আসবে। শুরুতে আমি কখনই প্রতিশ্রুতি দিইনি যে এটি দ্রুত ঘটবে, আমি কখনও প্রতিশ্রুতি দিইনি যে এটি সহজ হবে, আমি কখনও বলিনি যে এটি আগামীকাল ঘটবে, বা এটি আজ রাতে ঘটবে … একই সঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের চনমনে রাখতে তাদের বিভিন্ন আক্টিভিটি করানোর কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
কে ক্যাপ্টেন ডিস্ক? পড়ুুন বিশদে: Uttarkashi: উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজের ক্যাপ্টেন ডিস্ক, কে তিনি?
উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে যুক্ত এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে কিছু মোবাইল ফোনও পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা ভিডিও গেম খেলতে পারে। সুড়ঙ্গের আশেপাশে কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই তবে ওয়াই-ফাই সংযোগ দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। শ্রমিকরা যাতে ক্রিকেট খেলতে পারে, সেজন্য তাদের ক্রিকেট ব্যাট ও বল দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শ্রমিকরা খেলাধুলায় সময় কাটাতে পারবেন কারণ টানেলের ভেতরে যেখানে শ্রমিকরা আটকা পড়েছেন, সেখানে প্রচুর জায়গা রয়েছে। যাতে ক্রিকেট খেলা যায় সহজেই। এর আগে জানা যায়, শ্রমিকদের তাস ও লুডো পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ দিন ধরে উত্তরকাশীর টানেলে আটকে রয়েছেন বাংলার ৩ সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। বিগত কয়েকদিনে উদ্ধারকাজে গতি এসেছিল। তবে হিমালয়ের খামখেয়ালিপনার জেরে বারবারই থমকেছে ড্রিলিংয়ের কাজ। এর জেরে এখনও টানেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিককে।