Uttar Prdesh : জো জিতা ওহি সিকন্দর! সমীক্ষা উড়িয়ে উত্তরপ্রদেশে ঝাঁপ মোদী-যোগীর

উত্তর প্রদেশে (Uttar Prdesh) নির্বাচন সাত দফায়৷ শনিবার বিকালে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারিখ জানানোর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাতে…

Uttar Prdesh

উত্তর প্রদেশে (Uttar Prdesh) নির্বাচন সাত দফায়৷ শনিবার বিকালে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারিখ জানানোর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আগামী দিনেও কি যোগী আদিত্যনাথ থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর পদে, নাকি অন্য কেউ?

উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু হতে পারে কৃষক আন্দোলন। যোগী রাজ্যের চাষিদের অনেকেই সমর্থন জানিয়েছিলেন আন্দোলনে। এবং তার উত্তরে রাজ্য সরকারের মনোভাবও উঠে এসেছিল সংবাদ শিরোনামে। চাষিরাও দেশের নাগরিক। ভোটার। তাই আদিত্যনাথের সরকার তাঁদেরকে যে ক্ষুণ্ণ করেছিল তা বলাই বাহুল্য। লখিমপুরের ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল দেশে। মন্ত্রীর ছেলে নাকি পিষে মেরেছিলেন কৃষকদের! আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি ভোট ব্যাঙ্কে?

অতিমারি-কালও কাল হতে পারে যোগী সরকারের। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের কেউ কেউ এমনটাও মনে করছেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় উত্তর প্রদেশের গ্রামের দিকে শোনা গিয়েছিল হাহাকার৷ নদীর জলে ভেসে গিয়েছিল একের পর এক মৃতদেহ৷ স্বজনের প্রাণ রক্ষা করতে অন্য রাজ্যে ছুটে গিয়েছিল পরিবার। এসবই এখনও মনে রয়েছে আম-জনতার। প্রদেশের চিকিৎসা পরিষেবা সম্বন্ধে নেতাবাচক বার্তা পৌঁছেছিল জাতীয় স্তরে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা কি আগের মতো রয়েছে এখনও? এ প্রশ্ন আগে উঠেছে বহুবার। কিছু বেসরকারি সংস্থা সমীক্ষা চালিয়েছিল। যার ফলাফল বিজেপি সমর্থকদের অনেকেই হয়তো পছন্দ করবেন না। হিন্দুত্ববাদী ইমেজ খাড়া করা সত্বেও বারাণসীতেও চিড় ধরেছে মোদীর জনপ্রিয়তায়। সংবাদমাধ্যমের পর্দাদেও উঠে এসেছে সেই ছবি। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের দুধ কা দুধ পানি কা পানি করে দিয়ে গিয়েছে অনেক কিছুই।

উত্তর প্রদেশে নিরাপত্তা এখনও চিন্তার বিষয়। যোগী আদিত্যনাথ দুষ্টের দমন করতে নিয়েছিলেন একাধিক পদক্ষেপ৷ অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড থেকে এনকাউন্টার, বিগত কয়েক বছরে হয়েছে অনেক কিছুই। কিন্তু সুফল মিলেছে কতোটা। উন্নাও-এর ঘটনা এখনও ভোলেননি ইউপি নিবাসীরা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-এ রাজ্যে অপরাধের সংখ্যা বেশি। ২০১৮ সালে নথিভুক্ত হওয়া ক্রাইমের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৫৭। ২০১৯ সালে ৬ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৭৮।

রাজ্যের ক্ষমতায় বিজেপি থাকবে কি না তা অনেকাংশে নির্ভর করবে বিরোধীদের ওপর। উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাগ্রে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস। সম্প্রতি বিরোধী হিসেবে বিজেপিকে বেশ বেগ দিচ্ছে হাত শিবির। প্রচারে অখিলেশও ছড়িয়েছেন সুগন্ধী। গেরুয়া শিবিরকে পরাস্ত করার ইচ্ছা নিয়ে কাছাকাছি এসেছে সপা ও কং। আর মায়াবতী? মায়াতীর দল নিয়ে একলা চলো নীতি। কিছু ভোট নিশ্চয় পাবেন নেত্রী। তাতে বরং লাভ হতে পারে বিজেপির। মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ‘ভোট কাটুয়া’ শব্দ দু’টির চল বেড়েছে সম্প্রতি।

উত্তর প্রদেশে শিক্ষার হার এখনও অনেকটা কম। বিশেষ করে নারী শিক্ষার হার ৬০ শতাংশেরও নীচে। উত্তর প্রদেশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে পুরুষ শিক্ষার হার ৭৯.২৪ শতাংশ। নারী শিক্ষার হার ৫৯.২৬ শতাংশ। গড়ে শিক্ষার হার ৬৯.৭২ শতাংশ। যোগী রাজ্যে মহিলাদের বর্তমান অবস্থা এক আলোচ্য বিষয়৷

অযোধ্যা। উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার৷ রাম মন্দিরের ভিত-পুজো করে মাইলেজ আদায় করে নিয়েছিলেন মোদী। উত্তর প্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যেও সেদিন উড়েছিল গেরুয়া ধ্বজা। অভাব অনটনের মাঝেও ভারতবাসীদের একাংশ ধর্মপ্রাণ। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এ কথা জানেন খুব ভালো করে।

অর্থাৎ ইস্যু রয়েছে। হয়েছে আন্দোলন। বিরোধীরা উঠে পড়ে লেগেছেন যোগীকে আসন চ্যুত করতে। কিন্তু এমনই কিছু পয়েন্ট রয়েছে যা হাসি ফোটাতে পারে গেরুয়া শিবিরে। তাই লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে।