চৈত্র নবরাত্রি ও রাম নবমী উপলক্ষে উত্তর প্রদেশে মাংস বিক্রির (Meat Selling Ban) উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা রাজ্যের সকল ধর্মীয় স্থানের আশেপাশে মাংস বিক্রির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
এই নতুন নিয়ম অনুসারে, ধর্মীয় স্থানের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো অবস্থাতেই মাছ বা মাংস (Meat Selling Ban) বিক্রি করা যাবে না। এমনকি রাম নবমীর দিন রাজ্যজুড়ে সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ রাখতে হবে।
রবিবার, ২৫ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে চৈত্র নবরাত্রি, যা ২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এরপর ৬ এপ্রিল আবার নবরাত্রি (Meat Selling Ban) উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তরফে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, মাংসের দোকানগুলি ধর্মীয় স্থানের ৫০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে, চৈত্র নবরাত্রি এবং রাম নবমী উপলক্ষে এই নিয়ম কঠোরভাবে মানা হবে।
যদি কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেআইনি কসাইখানাগুলিও বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন বিভাগের মুখ্যসচিব অমৃত অভিজিৎ জানান, ইতিমধ্যেই সকল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ কমিশনারদের বেআইনি কসাইখানা বন্ধ (Meat Selling Ban) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ধর্মীয় স্থানের কাছাকাছি অবস্থিত দোকানগুলিতেও মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া, নবরাত্রি এবং রাম নবমীর সময় সঠিকভাবে এই নিয়ম অনুসরণ হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যজুড়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা পুলিশ, স্বাস্থ্য, পরিবহন ও খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে নজরদারি চালাবে, যাতে ধর্মীয় স্থানের কাছাকাছি মাংস বিক্রি না হয়।
নতুন নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, ধর্মীয় স্থানের ৫০০ মিটারের মধ্যে মাছ বা মাংস বিক্রি করা যাবে না। তবে, ওই অঞ্চলের বাইরেও বিশেষ শর্তে লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানে মাছ-মাংস বিক্রি (Meat Selling Ban) করা যাবে। কিন্তু, তা শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী দোকানগুলিতে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। প্রকাশ্যে কোনও অবস্থাতেই আমিষ বিক্রি করা যাবে না।
এছাড়া, রাম নবমীর দিন সারা রাজ্যজুড়ে সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ (Meat Selling Ban) রাখতে হবে। সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, এই নির্দেশাবলী মেনে না চললে কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে এবং একই সঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতা তৈরি করারও উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।