Uttar Pradesh : তাসের ঘরের মতো ভাঙছে বিজেপি, আরও একজনের পদত্যাগ

হলোটা কী বিজেপির! একই দিনে আরও একজন পদত্যাগ করলেন গেরুয়া শিবির থেকে। কিছুক্ষণ আগেই মিলেছিল বিধায়ক এবং ওবিসি নেতা ডঃ মুকেশ বর্মার ইস্তফা সংবাদ। এর…

short-samachar

হলোটা কী বিজেপির! একই দিনে আরও একজন পদত্যাগ করলেন গেরুয়া শিবির থেকে। কিছুক্ষণ আগেই মিলেছিল বিধায়ক এবং ওবিসি নেতা ডঃ মুকেশ বর্মার ইস্তফা সংবাদ। এর কিছুক্ষণ পরেই দল থেকে ইস্তফা দিলেন ফিরোজাবাদের (Uttar Pradesh) বিধায়ক ফিরোজ শাখিয়া।

   

রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্যর নিষ্ক্রমণের পর থেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছিলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার সম্প্রতি বলেছিলেন, বিজেপি থেকে ১৩ জন ইস্তফা দিতে পারেন। এরই মধ্যে ৩ দিনের মধ্যে দলকে বিদায় জানালেন ৮ জন। উত্তর প্রদেশে নির্বাচন শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। তার আগে দল-বদলের বাজারে এই ধস কীভাবে সামলাবে ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, প্রশ্ন উঠছে।

উত্তর প্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যোগী আদিত্যনাথ। অযোধ্যাকে সামনে রেখে জিততে চান ভোটের ময়দানে। বিজেপিও দল ভাঙানো শুরু করেছে ইতিমধ্যে। কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি থেকে মোট তিনজন এসেছেন পদ্ম শিবিরে। সাহারানপুরের কংগ্রেস এমএলএ নরেশ সাইনি, ফিরোজাবাদের হরি ওম সাইনি এবং সমাজবাদী পার্টির ডক্টর ধর্মপাল সিং হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া পতাকা।

দল ছাড়ার পর মুকেশ বর্মা জানিয়েছিলেন, মৌর্যের দেখানো পথেই তিনি চলবেন। ফিরোজ শাখিয়ার গলাতেও সেই একই সুর। তিনি বলেছেন, ‘বিগত ৫ বছরে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য কিছুই করেনি বিজেপি। কৃষক, চাকরি সন্ধানী বেকার যুবকদের কথাও প্রায় ভুলেই গিয়েছে নেতৃত্ব। আমি স্বামী প্রসাদ মৌর্যর সঙ্গে রয়েছি। উনিই আমাদের কন্ঠ।’

উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে আসন্ন নির্বাচনে ৪০৩ টি আসনের ভাগ্য গণনা হতে চলেছে। সাত দফায় হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া৷ দশ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ভোট। উত্তর প্রদেশে সাত দফার ভোটের তারিখ- ফেব্রুয়ারির ১০, ১৪, ২০, ২৩ এবং ২৭। মার্চ মাসে ৩ ও ৭ তারিখে আয়োজিত হবে ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফার নির্বাচন। মার্চের ১০ তারিখে গণনা।