বেজিংকে বিঁধতে বেনজির ছক ওয়াশিংটনের, ধর্মশালায় মার্কিন সংসদীয় দল

 নয়াদিল্লিঃ  চিনকে খোঁচা দিতে ভারতের মাটিতেই তিব্বত ইস্যুকে উস্কে দিল আমেরিকা। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় গিয়ে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন মার্কিন পার্লামেন্টের…

দলাই লামা ও ন্যান্সি পালোসি

 নয়াদিল্লিঃ  চিনকে খোঁচা দিতে ভারতের মাটিতেই তিব্বত ইস্যুকে উস্কে দিল আমেরিকা। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় গিয়ে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন মার্কিন পার্লামেন্টের প্রাক্তণ স্পিকার ন্যান্সি পালোসি। শৈলশহর ধরমশালায় তিব্বতি ধর্মগুরুর বাসভবনে গিয়েই দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। ন্যান্সি পালোসি ছাড়াও মার্কিন প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন এই বৈঠকে।

মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে পরতে পরতে চমকালেন রোহিত-বিরাটরা!

   

এই বৈঠক সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেই জানান মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান ন্যান্সি। সেখানে কার্যত চিনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে ন্যান্সি বলেন, ”এখন সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। তিব্বত সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন। পাশাপাশি চিনের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ”আপনি একদিন চলে যাবেন, কেউ মনে রাখবে না। কিন্তু দলাই লামা একজন মহান ধর্মগুরু, তিনি চিরকাল মহান থাকবেন।”

বাড়ল মোদী-যোগীদের মাথাব্যথা! হাতরস যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী

এর আগে জর্জ বুশ ভারতে এসেও দেখা করেছিলেন তিব্বতি ধর্মগুরুর সঙ্গে। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০-এর দশকে সাক্ষরিত হয়েছিল তিব্বত সংক্রান্ত আইন, যেখানে তিব্বতকে চিনের অংশ হিসেবে মেনে নিয়েছিল আমেরিকা। কারণ সেই সময় সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে চিনের মাও সরকারকে পাশে পাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল হোয়াইট হাউজের। কিন্তু এখন সময়ের বদলেছে, হোয়াংহো আর মিসিসিপি নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। এই মুহুর্তে আমেরিকার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ চিন।

ঘরে বাড়ছে চিন-বিরোধিতা, বিদেশে কোথায় চিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ভারত?

তাই বেজিংকে কোনঠাসা করতে আমেরিকা ফের তিব্বত আইনকে পরিবর্তন করতে চাইবে এমনটা বলাইবাহুল্য। তবে ন্যান্সি পালোসির এই দলাই লামার সাক্ষাত্ জল্পনা বাড়িয়েছে আরও একটি বিষয় নিয়ে। চিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে তাইওয়ানের। সেই তাইওয়ানেও একাধিকবার সফর করেছেন এই মার্কিন নেত্রী। ন্যান্সি পালোসির সফর ও তাইওয়ানের সঙ্গে সামরিক চুক্তি নিয়ে কড়া সুর চড়িয়েছিল বেজিং। আর ন্যান্সির এই সফর যথেষ্ট বিতর্ক বাড়িয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। এবারও ন্যান্সির সফর নিয়েও আমেরিকার বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ করে চিনের জিংপিং প্রশাসন।

এবার প্রশ্ন উঠছে সেই ন্যান্সিই কী ভারতের বুকে চিন বিরোধিতার ‘নতুন মন্ত্র’ জপে দিয়ে গেলেন? এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এর ফলে ভারতের সীমান্তে চিনা আগ্রাসন বাড়তে পারে এমনটাও মনে করছে কূটনৈতিক মহল।