মোদী-পুতিন আলিঙ্গন দেখেই চটে লাল প্রেসিডেন্ট বাইডেন! হুমকি নয়াদিল্লিকে

ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়া সফর, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নৈকট্য নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েকজন উচ্চ আধিকারিকের কাছে বিরক্তি…

US President Joe Biden is angry about Modi's visit to Russia, মোদী-পুতিন আলিঙ্গন দেখেই চটে লাল প্রেসিডেন্ট বিডেন! হুমকি নয়াদিল্লিকে

ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়া সফর, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নৈকট্য নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েকজন উচ্চ আধিকারিকের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

দুই দিনের সফরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়াকে ভারতের “সব মরসুমে বন্ধু” হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং “প্রিয় বন্ধু” সম্বোধন করে পুতিনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রাশিয়ার সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত মোদীর দাবি, প্রেসিডেন্ট পুতিন গত দুই দশকে ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বকে এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।

   

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে উল্লেখ, মার্কিন সরকারের উচ্চ আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাশিয়া সফরের সময় এবং ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে পুতিনের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আলিঙ্গন নিয়ে হতাশ হয়েছিলেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ সম্পর্কে আলোচনায় বিডেনের উপস্থিতিতেই মোদীর ভারত নিয়ে আলোচনা হয়।

এরপরই রীতিমত নয়াদিল্লিকে ‘হুমকি’ দিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্ব গভীর। কিন্তু সেই গভীরতা আমেরিকাকে অগ্রাহ্য করতে পারে না।

সিনিয়র সিটিজেনদের ছাড় ফিরছে? নির্মলার রেল-বাজেটে থাকতে পারে বিরাট চমক

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, চলতি মাসের শুরু দিকে ভারতের বিদেশ সচিবের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন বিদেশ দফতরের ডেপুটি সচিব কার্ট ক্যাম্পবেল। ন্যাটো সম্মেলনের সময়েই মোদী রাশিয়ায় যাবেন না, দু’ই পক্ষের কথোপকথনের পরে এমনটা আশা করেছিল আমেরিকা, দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

রাশিয়ার সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব করলে ভারতকে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে বলেও বার্তা দেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভ্যান। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘ভারত-সহ সমস্ত দেশকেই মনে করিয়ে দিত চাই, রাশিয়াকে দীর্ঘমেয়াদি বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হিসাবে ধরে নেওয়া মোটেও লাভজনক পদক্ষেপ নয়। কারণ রাশিয়া চিনের ঘনিষ্ঠ। যেকোনও দিন ভারতের বিরুদ্ধে তারা সমর্থন করবে বেজিংকে।’

রাশিয়া সফর সেরে মোদী দিল্লি ফিরতেই আরও আক্রমণাত্মক বার্তা দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্ব আগের থেকেও অনেক বেশি দৃঢ়। কিন্তু বন্ধুত্ব এতটাও গভীর হয়নি যে ভারত আমেরিকাকে অগ্রাহ্য করতে পারে।’

তাহলে কী ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে? নজরে ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক।