HomeBharatফেনোমেনাল পার্টনার! পাকিস্তান নিয়ে আমেরিকার বার্তায় কূটনৈতিক চপেটাঘাত: কংগ্রেস

ফেনোমেনাল পার্টনার! পাকিস্তান নিয়ে আমেরিকার বার্তায় কূটনৈতিক চপেটাঘাত: কংগ্রেস

- Advertisement -

নয়াদিল্লি: পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আমেরিকার সেনাদিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে৷ এই খবর সামনে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল কংগ্রেস। দলের অভিযোগ, আমেরিকা আবারও ‘ভারত-পাকিস্তান হাইফেনেশন’ (India-Pakistan Hyphenation)-এর পথে হাঁটছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘জেদ’ ছেড়ে সর্বদলীয় বৈঠক ও সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানাল বিরোধীরা।

বুধবার (১২ জুন) কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) পোস্ট করে লেখেন, “সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা ভারতের জন্য বড় কূটনৈতিক ধাক্কা। পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনির সেই ব্যক্তি, যিনি পহেলগাঁও হামলার আগে প্রকাশ্যে উসকানিমূলক ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। তাঁকেই এখন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ওয়াশিংটনে? তাহলে আমেরিকার অভিসন্ধি ঠিক কী?”

   

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাঝেই পাকিস্তান সেনাপ্রধানের আমন্ত্রণ, প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস

জানা গিয়েছে, ১৪ জুন ‘ইউএস আর্মি ডে’-র অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকছেন জেনারেল আসিম মুনির। কংগ্রেস এই বিষয়টি তুলে ধরে বলে, যখন ভারত সরকার দাবি করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (পাকিস্তানের ভিতরে ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান) এখনও চলছে, তখন পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের এমন আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমন্ত্রণ অস্বস্তিকর বার্তা দিচ্ছে কূটনৈতিক পরিসরে।

‘ফেনোমেনাল পার্টনার’ মন্তব্য নিয়েও ক্ষুব্ধ কংগ্রেস US invite Asim Munir Congress reaction

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (CENTCOM)-এর প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলার মন্তব্য ঘিরেও তোপ দেগেছে কংগ্রেস। তিনি সম্প্রতি পাকিস্তানকে “সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিশ্বে এক অসাধারণ সহযোগী (phenomenal partner)” বলে উল্লেখ করেছেন। জয়রাম রমেশ প্রশ্ন তোলেন, “এই মন্তব্য ভারতীয় নিরাপত্তা ও কূটনীতি—উভয়ের জন্যই এক বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী কি একবারও ভাবছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান কীভাবে তুলে ধরা উচিত?”

প্রধানমন্ত্রীর কাছে কংগ্রেসের দাবি: ‘প্রেস্টিজ’ নয়, এবার ‘পার্লামেন্ট’!

জয়রাম রমেশ বলেন, “দশকের পর দশক ধরে ভারত যে কূটনৈতিক অবস্থান গড়ে তুলেছে, তা এত সহজে ধাক্কা খেতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর একগুঁয়ে মনোভাব ছেড়ে সর্বদলীয় বৈঠক ও সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হবে। যাতে দেশের রাজনৈতিক ঐক্য স্পষ্ট হয় এবং আন্তর্জাতিক মহলেও ভারত তার অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারে।”

পহেলগাঁও হামলা ও আন্তর্জাতিক বার্তা

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে। ঠিক এই আবহেই আমেরিকায় পাক সেনাপ্রধানের উপস্থিতি, CENTCOM প্রধানের মন্তব্য এবং কিছু প্রাক্তন মার্কিন প্রশাসনিক পদাধিকারীর বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিস্তর জল্পনা। কংগ্রেসের প্রশ্ন, “ওয়াশিংটনে কি কিছু নতুন রান্না হচ্ছে?”

 

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular