বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ আমেরিকা, আলোচনা ভারতের সঙ্গে

বাংলাদেশে (Bangladesh) আওয়ামী সরকারের পতনের পেছনে আমেরিকার (United states of America) হাত রয়েছে। দিল্লিতে নির্বাসিত থেকেই দেশবাসীকে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেন্ট…

US and other nations are discussing with India on Bangladesh situation

বাংলাদেশে (Bangladesh) আওয়ামী সরকারের পতনের পেছনে আমেরিকার (United states of America) হাত রয়েছে। দিল্লিতে নির্বাসিত থেকেই দেশবাসীকে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ড মার্কিনিদের হাতে তুলে না দেওয়াতেই তাঁকে সরানো হয় বলে দাবি করেছিলেন মুজিব-কন্যা। যদিও সেই দাবি নস্যাত্ করে আমেরিকা(United states of America) ।

ইউরোপ থেকেই এবার ইউনূসের সরকারকে উল্টে দেওয়ার চক্রান্ত

   

ওয়াশিংটনের বক্তব্য এমন কোনও বিষয়ে হাসিনার সঙ্গে কখনও কথা হয়নি তাঁদের। তারপর হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলেও দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নৈরাজ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। এবার ভারতের পর বাংলাদেশ (Bangladesh) পরিস্থিতিতে কড়া নজর রাখছে বলে জানাল আমেরিকা।

স্বাধীনতা দিবসেও অব্যাহত রেল-বিপত্তি! চলন্ত দোতলা ট্রেনের কামরা খুলে দুভাগ

সেই বিষয় ভারতের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ওয়াশিংটন। এছাড়াও অন্যান্য একাধিক দেশের সঙ্গেও আলোচনা করছে হোয়াইট হাউজ। এই কথা জানিয়েছেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের সহকারী মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। নতুন সরকার আসতেই বাংলাদেশে হিন্দুদের পরিবার ও সম্পত্তির ওপর লাগাতার হামলা বেড়েছে। আর যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি। তাই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে সম্প্রতি ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে হিন্দুদের সঙ্গে বৈঠকও করেন ইউনূস।

মহিলা কর্মীদের জন্য ১ দিনের সবেতন মাসিক ছুটি ঘোষণা রাজ্য সরকারের!

সেখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়েও আস্বাস দেন তিনি। সেই বিষয়টিকেও স্বাগত জানিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে হোয়াইট হাউজে চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছিল একাধিক সংগঠন। সেই প্রেক্ষিতেই বিষয়টি নিয়ে আমেরিকা নড়েচড়ে বসল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

এদিন স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেও বাংলাদেশে (Bangladesh) ঘটে চলা হিন্দুদের প্রতি নির্মম হামলার প্রসঙ্গ টেনে তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর এবার আমেরিকার মতো দেশ ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করায় ইউনূসের সরকার চাপে পড়ল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।