‘বিষ’ ওষুধ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যভবনের জরুরি পদক্ষেপ

বাংলা-সহ গোটা দেশজুড়ে ওষুধের (Medicine) গুণমান পরীক্ষা করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)। জানুয়ারি মাসে এই পরীক্ষায় মোট ৯৩টি ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় ফেল করেছে।…

Urgent Steps by Health Department to Control 'Toxic' Medicines

short-samachar

বাংলা-সহ গোটা দেশজুড়ে ওষুধের (Medicine) গুণমান পরীক্ষা করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)। জানুয়ারি মাসে এই পরীক্ষায় মোট ৯৩টি ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় ফেল করেছে। এই তালিকায় বিভিন্ন ধরনের সাধারণ ওষুধ রয়েছে, যেগুলি প্রতিদিন ব্যবহৃত হয়। প্যারাসিটামল, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, বমিভাব কাটানোর ওষুধ—এসব সবই গুণমান পরীক্ষায় ফেল করেছে। 

   

এই ঘটনার পর রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন তৎপর হয়ে উঠেছে। সিডিএসসিও-র গুণমান পরীক্ষায় ‘ফেল’ করা ওষুধগুলো নিয়ে সর্তকবার্তা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যভবন। তারা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে নির্দেশ দিয়েছে, যাতে রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতাল থেকে এসব অযোগ্য ওষুধ দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়। এই ব্যর্থ ওষুধের তালিকায় থাকা ওষুধগুলি সরানোর জন্য স্থানীয় পর্যায়ে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যভবন তৎপর হয়েছে।

স্বাস্থ্যসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের হোলসেলার ও খুচরো ওষুধ ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছে, যেন তারা এই ‘ফেল’ করা ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে। স্বাস্থ্যভবন শুধু নোটিস দিয়েই থেমে থাকেনি, বরং পরিদর্শনের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের কর্মকর্তাদেরও পাঠানো হবে। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এই ওষুধগুলির মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ মানুষ নিয়মিত ব্যবহার করে থাকে। প্যারাসিটামল, বমিভাব দূর করার ওষুধ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধও রয়েছে এই তালিকায়। সাধারণত এই ধরনের ওষুধ বিভিন্ন ধরনের অসুখের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফলে, এসব ওষুধ বাতিল হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে, রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল দ্রুত নতুন ওষুধের বিকল্প নিয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করবে। যাতে সাধারণ মানুষ নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন ওষুধ কিনতে পারেন। পরবর্তীতে যদি আরও কোনও অযোগ্য ওষুধ পাওয়া যায়, তবে সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে, বিশেষ করে খুচরো ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে ওই ‘ফেল’ হওয়া ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু, কিছু খুচরো ব্যবসায়ী এখনো এসব ওষুধ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন, যা নিয়মের পরিপন্থী।

তবে, রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের কর্মকর্তারা যে কোনো পরিস্থিতিতেই কঠোরভাবে এই নীতিমালা অনুসরণ করানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। এছাড়া, রাজ্য সরকারও চাইছে যাতে কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয়। এসব সমস্যা সমাধানে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যভবন এখন সচেষ্ট। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার কিভাবে নতুন বিকল্প ওষুধের ব্যবস্থা করবে এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কতটা কমানো যাবে।