বাতিল আইএএস পদ, পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ইউপিএসসি-র

ট্রেনি আইএএস অফিসার পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৩১ জুলাই), পূজার আইএএস পদ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে ইউপিএসসি পরিচালিত আর…

ট্রেনি আইএএস অফিসার পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৩১ জুলাই), পূজার আইএএস পদ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে ইউপিএসসি পরিচালিত আর কোনও পরীক্ষাই দিতে পারবেন না পূজা খেদকার।

ইউপিএসসি-র তরফে জানানো হয়েছে যে, পূজা খেদকারকে সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। জালিয়াতির অভিযোগে, চলতি মাসের ১৮ তারিখ ২০২২ সালের সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পূজা মনোরমা দিলীপ খেদকরকে ইউপিএসসি-র তরফে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করা হয়েছিল। ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে সেই নোটিসের জবাবদিহি জমা দেওয়ার কথা ছিল পূজার। কিন্তু তিনি ৪ অগস্ট পর্যন্ত সময়ের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু, ইউপিএসসি তাঁকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিল এবং সেটিকে ‘চূড়ান্ত সুযোগ’ বলে জানিয়েছিল। জানানো হয়েছিল সেই সময় পরিধি আর বাড়ানো হবে না।

   

পূজাকে আরও বলা হয়েছিল যে, সময়সীমার মধ্যে যদি কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া যায় তবে ইউপিএসসি ব্যবস্থা নেবে। বলা হয়েছিল, ‘তাকে সময় বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া সত্ত্বেও, তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁর ব্যাখ্যা জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

এরপরই এ দিন চরম পদক্ষেপের কথা ঘোষমা করে ইউপিএসসি। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘তদন্তের ভিত্তিতে পূজা খেদকার তাঁর নাম, তাঁর বাবা এবং মায়ের নাম, তাঁর ছবি/স্বাক্ষর, তাঁর ইমেল আইডি, মোবাইল নম্বর এবং ঠিকান পরিবর্তনের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় জাল করে, নিয়মের অধীনে অনুমোদিত যে পরীক্ষা দেওয়ার সীমা রয়েছে, তা অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিলেন।’

লোকাল হোক বা দূরপাল্লা- ট্রেনে তো চড়েন, জানেন ট্রেনের মাইলেজ কত?

উল্লেখ্য, জেনারেল ক্যাটেগরিতে সর্বোচ্চ ৬ বার এবং ওবিসি ক্যাটেগরিতে সর্বোচ্চ ৯ বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়া যায়।

পুরোদস্তুর আইএএস অফিসার হওয়ার আগেই বিতর্কে জড়ান পূজা খেদকার। তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক অক্ষমতা প্রমাণের জন্য জাল নথি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। ইউপিএসসি পরীক্ষার আবেদনপত্রে পূজা দাবি করেছিলেন, তাঁর দৃষ্টিশক্তিতে প্রতিবন্ধকতা আছে। তবে, আটবার ডাকার পরও তিনি এইমস হাসপাতালে গিয়ে এমআরআই করে তাঁর দৃষ্টিশক্তি যাচাই করাননি। দাবি করেছিলেন, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে, ফলে এমআরআই করা সম্ভব নয়।

চিনের সঙ্গে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’র নাম বদলে হোক ‘তিব্বত সীমান্ত’, দাবি বিজেপি সাংসদের

এরপর, পুণের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এমআরআই রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তিনি। সেই রিপোর্টটিই জাল ছিল বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ ওঠার পর, ইউপিএসসি পূজাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠায়। সপ্তাহ দু’য়েক আগে, মহারাষ্ট্র সরকারের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকেও পূজা খেড়করকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর প্রশিক্ষণ স্থগিত রেখে, তাঁকে মুসৌরির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ফিরিয়ে আনা হয়।

ইউপিএসসি-র অভিযোগের ভিত্তিতে পূজার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির এক আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন পূজা। এ দিনই সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, পুনের এক আদালত এক জমি বিবাদের ফৌজদারি মামলায়, পূজা খেড়করের মাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিল।