গত শনিবারই কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পদে ‘ল্যাটারাল এন্ট্রির’ মাধ্যমে নিয়োগের নির্দেশিকা জারি করেছিল মোদী সরকার। মোট ৪৫ জন আধিকারিককে নিয়োগের সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এতে অবশ্য কোনও সংরক্ষণের উল্লেখ ছিল না। এই পদ্ধতিতে নিয়োগের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোদী দলগুলো। সোচ্চার হন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও। বেঁকে বসেছিলেন এনডিএ শরিক দল লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসওয়ান। সংরক্ষণ ছাড়া ল্যাটারাল এন্ট্রির মাধ্যমে নিয়োগ হবে না বলে দাবি জানান তিনি। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক পদে ‘ল্যাটারাল এন্ট্রির’ নির্দেশিকা বাতিল করা হল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়োগ বিজ্ঞাপন বাতিল করতে ইউপিএসসি চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছেন ডিওপিটি মন্ত্রী।
‘কাজ শুরু করুন’, চিকিৎসকদের কাছে বড় আহ্বান সুপ্রিম কোর্টের
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ছিল, সরকারের উচ্চপদে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ করার জন্যেই এই ভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এই সব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আসন সংরক্ষণ না থাকা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। রাহুলের সঙ্গেই, গত সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান জানান, সংরক্ষণ বিহীন ল্যাটারাল এন্ট্রি অবৈধ।
রাজভবনের ‘বিতর্কিত’ ইন্দিরাকে রেখে সন্দীপের বিরুদ্ধে সিট গঠন রাজ্যের
পাল্টা মোদী সরকার যুক্তি দিয়েছিল, কর্পোরেট বা শিক্ষা জগৎ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের পক্ষপাতী কেন্দ্রীয় সরকার। তুলে ধরা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উদাহরণ। তাঁকেও ‘ল্যাটারাল এন্ট্রি’র মাধ্যমে সরকারি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।