উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বুলন্দশহর জেলায় চুরির সন্দেহে একজন মুসলিম শ্রমিককে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। তাকে বেধড়ক মারধর করে তার মাথার আংশিক চুল কেটে ফেলা হয়। এর পর তাকে জয় শ্রী রাম স্লোগান তুলতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাচক্রে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই গোটা ঘটনার পর তার ছেলেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিক সাহিলের বাবা শাকিল। এর সঙ্গেই তিনি গণমাধ্যমে আরও বলেন, পুলিশ তাকে অভিযুক্তের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলছে এবং তাকে হুমকি দিচ্ছে।
মামলার তিন অভিযুক্তের মধ্যে একজনের গুলি করা ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা রাজনৈতিক মহলে তুমুল ঝড় তুলেছে। অভিযুক্তদের নাম গজেন্দ্র, সৌরভ এবং ধন্নি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
হায়দরাবাদের সাংসদ এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং উত্তর প্রদেশ পুলিশের উপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছেন।
তিনি একটি হিন্দি টুইটে বলেছেন,”পুলিশের সহানুভূতি দেখুন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সাহিলকে জেলে পাঠিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা কোথায় যাব?”।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র নাথ তিওয়ারি বলেছেন, “ভাইর গ্রামের একটি ভিডিও শুটে দেখা যাচ্ছে তিনজন লোক চুরির সন্দেহে একই গ্রামের বাসিন্দা সাহিলকে মারধর করছে”।
তিনি আরও জানিয়েছেন,”ভিডিওটি বিবেচনা করে, এবং পরিবারের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে, কাকোদ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে,”
সাহিলের বাবা শাকিল জানিয়েছেন, তার ছেলে দুপুরে খাবার খেতে বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা তাকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। তিনি আরো বলেন,”আমাদের আর্জি কেউ শুনছে না। পুলিশ আমাদের ছেলেকে তুলে নিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। আমাদের এখানে থাকতে দেবেন না। আমরা ন্যায়বিচার চাই,”
সাহিলের মায়ের দায়ের করা অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, যে অভিযুক্তরা তার মোবাইল ফোন সহ নগদ দেড়হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছে।