অদ্ভূত, নাকি ভূতুড়ে। উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের ঘটনা। ২৪ বছর বয়সি বিকাশ দুবেকে গত ৪০ দিনে সাতবার সাপে কামড়েছে। আর সব কামড়ই বিকাশ খেয়েছেন শনিবার!
সাপের কামড়ের চিথিকসা করাতে করাতে কার্যত সর্বশান্ত বিকাশ। পরিস্থিতি এমনই যে বিকাশ, রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। এমনই জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের চিফ মেডিক্যাল অফিসার রাজীব নারায়ণ গিরি।
রাতে ঘুম ভেঙে বিছানা থেকে নামতেই তাঁকে প্রথমবার সাপে কামড়েছিল গত ২ জুন। তখন বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে বেঁচে যান তিনি। এরপর বাড়িতে আরও তিনবার সাপে কামড়েছে ওই যুবককে। প্রতিবারই বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু বার বার এমন ঘটায় চিকিৎসক তাঁকে বাড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেন। সেই মত বিকাশ আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সেখানেও রক্ষা পেলেন না। ফের সাপে কামড়ায় ওই যুবককে।
মাদ্রাসায় অ-মুসলিম শিশুদের রাখা আসলে মৌলিক অধিকার হরণ: শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন
অবাক করা কাণ্ড হল যে, প্রতিবার শনিবারই বিকাশের শরীরে সাপ ছোবল বসিয়েছে। এতেই শঙ্কায় বাড়ির লোকজন। ভয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। কেন সাপের ছোবলের মুখে বার বারই পড়ছেন বিকাশ? সেই প্রশ্নেই এখন তোলপাড়।
মাদ্রাসায় অ-মুসলিম শিশুদের রাখা আসলে মৌলিক অধিকার হরণ: শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন
উত্তরপ্রদেশের চিফ মেডিক্যাল অফিসার রাজীব নয়ণ গিরির কথায়, “বিকাশ দুবে জেলাশাসকের কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। সাপে কামড়ানোর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছেন। আপাতত বিকাশকে আমি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছি, সেখানে বিনামূল্যে সাপে কাটার ওষুধ মিলবে।”
কিন্তু প্রতিবার কেন শনিবারই বিকাশকেই সাপে কামড়াচ্ছে? চিফ মেডিক্যাল অফিসার বলেছেন, “কেন এমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। অদ্ভূত যে, প্রতি শনিবার একজন ব্যক্তিকে একটি সাপে কামড়াচ্ছে, সে হাসপাতালে গিয়ে ফের সুস্থ হয়ে ফিরে আসছে।” গোটা ঘটনায় চিকিৎসকদের নিয়ে বিশেষ কমিটি গড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের চিফ মেডিক্যাল অফিসার।