কে এস শানকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২ সংঘ কর্মী

নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (এসডিপিআই) রাজ্য সম্পাদক কে এস শান (k…

murder of KS Shan

নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (এসডিপিআই) রাজ্য সম্পাদক কে এস শান (k s shan)। দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম শানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু (death) হয়। শানের হত্যার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সোমবার কেরল পুলিশ দুই আরএসএস (rss) কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

শানের জখম হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার সকালে বিজেপি ওবিসি মোর্চার রাজ্য সম্পাদক রঞ্জিত শ্রীনিবাসনের (ranjit shrinibasan) উপর চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের ছুরির আঘাতে নিজের বাড়িতেই প্রাণ হারান বিজেপির এই নেতা। একই দিনে জোড়াখুনের এই ঘটনায় কেরলের আলাপ্পুঝা জেলায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দু’দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয় জেলায়।

পুলিশ এই জোড়া খুনের তদন্ত শুরু করে সোমবার রথিশ ও প্রসাদ নামে দুই সঙ্ঘ কর্মীকে গ্রেফতার করে। আলাপ্পুঝার পুলিশ সুপার জি জয়দেব জানিয়েছেন, শান যে গ্রামে থাকতেন ধৃত দুই ব্যক্তি সেই গ্রামেরই লোক। শানের হত্যার ষড়যন্ত্রে এই দুইজন জড়িত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। তবে ধৃতরা সরাসরি শানের খুনের সঙ্গে যুক্ত নয়। শানের উপর হামলা চালাতে দুষ্কৃতীরা যে গাড়ি ব্যবহার করেছিল সেই গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল এই দুই সঙ্ঘ কর্মী। তবে শানকে খুনের ঘটনায় জড়িতরা এখনও সকলেই পলাতক।

অন্যদিকে বিজেপি নেতা শ্রীনিবাসনকে খুনের ঘটনাতেও অভিযুক্তরা কেউই ধরা পড়েনি। রঞ্জিতের বাড়ির সামনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ছটি মোটরবাইকে করে ১২ জন যুবক এসেছিল। তাদের সকলের মুখই ছিল ঢাকা।

জোড়াখুনের এই ঘটনায় পুলিশ গোটা রাজ্য জুড়ে জোরদার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতেও তল্লাশি চলছে। ইতিমধ্যেই সব ধরনের জমায়েতে, সভা ও মিছিলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সোমবার আলাপ্পুঝায় গ্রামের বাড়িতে রঞ্জিতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল শ্রীনিবাসনের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন।

জোড়া খুনের ঘটনা সকলের সঙ্গে কথা বলতে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। তবে বিজেপির প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত ওই বৈঠক বাতিল হয়। জানা গিয়েছে এই বৈঠক হবে মঙ্গলবার। বিজেপির অভিযোগ, সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে মৃতদের প্রতি অসম্মান প্রকাশ করেছে বিজয়ন সরকার।