Mumbai News: বৃহস্পতিবার একটি হুমকি ফোন কল এসেছে মুম্বাই পুলিশের কাছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, দুই পাকিস্তানি নাগরিক তাজ হোটেল উড়িয়ে দিতে শহরে প্রবেশ করবে। ইন্ডিয়া টুডে-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বাই পুলিশের প্রধান কন্ট্রোল রুম একটি বেনামী ফোন কল পেয়েছিল। সেখানে তাদের জানানো হয়েছে যে, পাকিস্তান থেকে দুজন লোক সমুদ্রপথে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে এবং শহরের ঐতিহাসিক তাজ হোটেল উড়িয়ে দেবে।
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ফোনকারী তার নাম মুকেশ সিং বলেছে। তবে একটি তদন্তে জানা গিয়েছে যে, তার আসল নাম জগদম্বা প্রসাদ সিং। এই ৩৫ বছর বয়সী লোকটি মূলত উত্তর প্রদেশের গোন্ডার বাসিন্দা। তবে বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ের সান্তা ক্রুজ এলাকায় বসবাস করছেন। এই গোটা বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই পুলিশ।
মুম্বাইয়ের কোলাবা এলাকার ঐতিহাসিক তাজ হোটেলটি শহরে ২০০৮ সালের জঙ্গি হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল। হোটেলটি অতীতেও একই ধরনের হুমকির কল পেয়েছে। পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার ১০ জন জঙ্গি ২৬ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে সমুদ্রপথে মুম্বাইয়ে প্রবেশ করে এবং বেশ কয়েকটি পাবলিক প্লেসকে লক্ষ্য করে।
জঙ্গিরা তাজ প্যালেস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, সিএসএমটি রেলওয়ে স্টেশন, কামা হাসপাতাল, নরিমান হাউস ইহুদি কমিউনিটি সেন্টার, মেট্রো সিনেমা, টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিল্ডিং এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পিছনে একটি গলিতে ৮টি সিরিয়াল হামলা চালায়। ২৬ নভেম্বর হামলার পর শুরু হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। যা চলে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। পাকিস্তান মদদপুষ্ট এই জঙ্গি হামলায় ১৬৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়। এবং আহত হয় অন্তত ৩০০ জন।
এই ঘটনার পরে মুহম্মদ আজমল আমির কাসাব জীবিত ধরা পড়ে। তার অন্য ৯ সঙ্গী নিহত হয়। প্রায় ৪ বছর ধরে বিচার চলার পর ২৬/১১ মুম্বাই জঙ্গি হামলার জন্য আদালত কাসাবকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২১ নভেম্বর ২০১২ তারিখে পুনের ইয়েরওয়াদা জেলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড তাজ হোটেলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি দের নিষ্ক্রিয় করতে ‘অপারেশন ব্ল্যাক টর্নেডো’ শুরু করে।