গ্রাহকদের বন্ধক রাখা সোনা বদলে নেওয়া দুই ব্যাংক কর্মী পুলিশের জালে

প্রতিবেদন : সোনার গয়না বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ (bank loan) নিয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। সেই ঋণ শোধ করে সোনার গয়না ফিরিয়ে আনতে গিয়েই ভিরমি…

প্রতিবেদন : সোনার গয়না বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ (bank loan) নিয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। সেই ঋণ শোধ করে সোনার গয়না ফিরিয়ে আনতে গিয়েই ভিরমি খাওয়ার জোগাড় ওই গ্রাহকের (customer)। কারণ গ্রাহক দেখেন, ঋণ নেওয়ার সময়ে তিনি যে সমস্ত গয়না দিয়ে ছিলেন সেগুলি সম্পূর্ণ বদলে দেওয়া হয়েছে। সোনার বদলে একই ধরনের দেখতে অন্য কোনও ধাতুর গয়না (gold ornament) রেখে দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পুদুচেরির (puduchery) আরবান ব্যাংকের লম্পেট শাখায়।

স্বাভাবিকভাবেই সোনার গয়না বদলে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আতান্তরে পড়েন। সম্বিৎ ফিরতেই তিনি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। এরপরই শুরু হয় তদন্ত। ওই তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায় ব্যাংকের ক্যাশিয়ার গণেশন ও সহকারী ক্যাশিয়ার বিজয় কুমার প্রায় ৪০০ সোনার অলংকার বদলে অন্য ধাতুর তৈরি অলংকার রেখে দিয়েছেন। ওই অলংকার তাঁরা অন্য এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছেন। গয়না বদলের বিষয়টি নিশ্চিত হতেই ওই ব্যাংকের ম্যানেজার ডি নগর থানায় ক্যাশিয়ার ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তদন্তে নেমে পুলিশ ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যেই ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

   

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে তাঁরা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। সেই তদন্ত করতে গিয়ে তাঁদের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কারণ একজন বা দু’জন নয় বহু গ্রাহকের গয়নাই বদলে নিয়েছেন ক্যাশিয়ার গণেশন ও তার সহকারী বিজয় কুমার। শুধু হাতিয়ে নেওয়াই নয়, অত্যন্ত সুকৌশলে তারা সোনার মতোই অন্য এক ধাতুর তৈরি অলংকার নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিয়েছিলেন। তাই বিষয়টি সহজে ধরা অত্যন্ত কঠিন ছিল পুলিশের কাছে।

দুই ব্যাংক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই গয়না বদলের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮০, ৪০৭ ও ৪২০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই দুই ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হলে তাদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি ওই ব্যাংকের আরও কয়েকজন সন্দেহভাজন কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।