ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ঘোষণা করেছেন যে, এই মাসের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত জি-২০ (Group of 20) শীর্ষ সম্মেলনে কোনো মার্কিন সরকারী প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবে না। তিনি এ সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার কর্তৃক সাদা কৃষকদের ওপর সম্ভাব্য নির্যাতন এবং অন্যায় আচরণের অভিযোগ।
এর আগে ট্রাম্প নিজে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি নিজে নভেম্বর ২২–২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন না। এই সভায় বিশ্বের বৃহৎ এবং উদীয়মান অর্থনীতির নেতারা অংশ নেন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর আশা করা হয়েছিল যে, ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স তার জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকায় উপস্থিত হবেন। তবে, সূত্র জানিয়েছে যে, ভ্যান্সও এখন আর সম্মেলনে উপস্থিত হবেন না। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারী প্রতিনিধি না যাওয়ায়, এটি কূটনৈতিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এটি মানবাধিকার রক্ষার জন্য একটি স্পষ্ট নীতি প্রদর্শন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মূলত রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক উভয় প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব বহন করে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সাদা কৃষকদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে দেশটির কিছু কৃষক অভিযোগ করেছেন যে, তাদের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া, হুমকি দেওয়া এবং কখনো কখনো সহিংসতার শিকার হতে হচ্ছে। এই অভিযোগগুলি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি এ ধরনের আচরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বারবার দাবি করেছে যে, এই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং তারা জাতিগত ভেদাভেদে বিশ্বাস করে না। তারা যুক্তি দিয়েছেন যে, দেশটি একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজ এবং সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু ট্রাম্পের মতে, এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে না এবং তাই মার্কিন প্রতিনিধি দল সম্মেলনে পাঠানো হচ্ছে না।


