ওয়াশিংটন: রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতকে কোণঠাসা করায় নিজের দেশেই কটাক্ষের মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প। মস্কোর বৃহত্তম অপরিশোধিত তেলের রফতানিকারক চিনের সঙ্গেও এমন আচরণ করা হয়নি বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসনকে বিঁধলেন মার্কিন হাউসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাটরা।
তাঁরা বলেন, ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ৫০% শুল্ক চাপানোয় আমেরিকানরা ‘দুঃখিত’ এবং এরফলে ভারত-আমেরিকার সম্পর্কও নষ্ট হচ্ছে। যেখানে চিন সহ অন্যান্য বহু দেশ রাশিয়ার তেল কেনে তাদের ছেড়ে ভারতের সঙ্গেই এমন ‘দুয়োরাণী’-সুলভ আচরণ কেন, প্রশ্ন তুলছেন ডেমোক্র্যাটরা। বিষয়টি নিয়ে হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির (House foreign Affairs Committee Dems) অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একটি পোস্টও করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের ফলে বিস্তর বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা।
চাপানো বাড়তি শুল্কের ফলে প্রায় ৪৮.২ বিলিয়ন ডলারের রফতানি প্রভাবিত হবে বলে ধারণা করছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই বাণিজ্যের পাশাপাশি যার সরাসরি প্রভাব দেশের অর্থনীতি সহ কর্মসংস্থানের উপরেও পড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তবে আমেরিকার শুল্ক-চাপে মাথা নত করতে নারাজ নরেন্দ্র মোদী। ওষুধ এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ট্রাম্পের শুল্কত্রাস থেকে আপাতত নিস্তার পেয়েছে।
বলা বাহুল্য, দ্বিতীয় বারের মত ক্ষমতায় এসে বিশ্বের প্রায় সব দেশকেই শুল্ক-খাঁড়ার নীচে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ক আদায়ের হাত ধরে তাঁর রাজকোষে প্রায় ৫০,০০০ কোটি ডলার ঢুকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২২ আগস্টের মধ্যেই প্রায় ২৯৬০ কোটি ডলার শুল্ক আদায় করে ফেলেছে আমেরিকা।