পোড়া বাড়ির ভিতর ছড়িয়ে আছে পুড়ে কাঠ হয়ে যাওয়া কয়েকটা গোরু-বাছুর। রাজনৈতিক হামলার এই দৃশ্য এখন ত্রিপুরার (Tripura) গ্রামাঞ্চলে আকছার দেখা যাচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম লুঠ শুরু হয়েছে। হামলায় অভিযুক্ত শাসক দল বিজেপি। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে জ্বলছে ত্রিপুরা। অভিযোগ, জয়ের পর বিজেপির বাইক বাহিনীর হামলা চলেছে বাম সমর্থকদের উপর। সংখ্যালঘু মহল্লায় চলেছে তাণ্ডব।
পুড়ে যাওয়া বাড়ি ঘরের সামনে অসহায় মানুষের আর্তনাদ। অভিযোগ, পুলিশের কোনও পদক্ষেপ নেই। আরও ভয়াবহ অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতিরাই হামলা করছে বিজেপি সমর্থকদের উপর। অভিযোগ বিজেপি সমর্থিত ৬৭ বছরের বৃদ্ধাকে মেরে জখম করল বিজেপিরই দুষ্কৃতিরা। পূর্ণিমা দেব নামে ওই মহিলা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেননি। তাই হামলা হয়েছে। এই হামলা হয় যুবরাজনগর বিধানসভার পশ্চিম দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েতে।
অন্যদিকে বিজেপি এবং তিপ্রা মথার সংঘর্ষে আহত আটজন। সবাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় রবিবার রাত থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের রাজকান্দি গ্রামে। উপজাতি দল তিপ্রা মথার হামলায় একাধিক এলাকায় বিজেপির সমর্থকরা ঘর ছাড়া।
চড়িলাম বিধানসভায় প্রবল সন্ত্রাস চলছে। এই কেন্দ্রে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী ও বিদায়ী সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা পরাজিত। এর পরেই তিপ্রা মথার সমর্থকরা হামলা চালায়। আবার বিজেপির বিরুদ্ধেও স্খানীয় সিপিআইএম সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিধ্বংসী অগ্নিকান্ড আগরতলা ও রানিরবাজারে। পুড়ে ছারখার বহু দোকান ও ন্যায্য মূল্যের দোকান। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষাধিক টাকা।
নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস বন্ধ করতে এবং প্রতিটি হিংসার ঘটনায় পুলিশ যেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে তার জন্য রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের দ্বারস্থ হয় বামফ্রন্ট কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ন কর।
বিদায়ী সরকারের কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বিভিন্ন সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি প্রশাসনকে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেছেন।