Tripura: জ্বলতে থাকা ত্রিপুরায় আর্তনাদ ‘আমারে বাঁচান’

কোথায় পুলিশ? আতঙ্কিত জনতার প্রশ্ন আর কত হামলা? ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে জ্বলতে থাকা ত্রিপুরা (Tripura) থেকে ভেসে আসছে আওয়াজ ‘আমারে বাঁচান’।

tripura

কোথায় পুলিশ? আতঙ্কিত জনতার প্রশ্ন আর কত হামলা? ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে জ্বলতে থাকা ত্রিপুরা (Tripura) থেকে ভেসে আসছে আওয়াজ ‘আমারে বাঁচান’। শাসক বিজেপি ও বিরোধী উপজাতি দল তিপ্রা মথা, সিপিআইএম, কংগ্রেস পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যটিতে।

  • শাসক বিজেপি বলছে আমরা আক্রান্ত 
  • বিরোধী দল তিপ্রা মথার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ
  • সিপিআইএমের অভিযোগ বিজেপির পরিকল্পিত সন্ত্রাস চলছে
  • কংগ্রেস বলছে হামলা না থামলে প্রত্যাঘাত করা হবে

পরপর দুবার ত্রিপুরায় সরকার ধরে রেখেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা জানিয়েছেন, প্রশাসন কড়া হাতে সন্ত্রাস দমন করবে। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শনিবার ত্রিপুরায় আসেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি এ রাজ্যে বিজেপির মুখ্য ভোট কুশলী। তিনি জানান, সন্ত্রাস কাম্য নয়।

ভোটের ফলে বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে উপজাতি দল তিপ্রা মথা। তাদের প্রতি রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, কোনও অবস্থায় ত্রিপুরা ভেঙে আলাদা গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যু সমর্থন করা হবে না।

এদিকে বিরোধী দল হিসেবে তিপ্রা মথা উঠে আসার পর থেকে এই দলটির সমর্থকদের বিরুদ্ধে বারবার হামলার অভিযোগ উঠেছে। শাসক বিজেপি সমর্করা আক্রান্ত।শাসক দলের বুথ অফিস ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আগরতলায় প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশকে বিরোধীদের দলদাস বলল শাসক দলের কর্মীরা।

আবার বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক বাম ও কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, আগুন ধরানো, ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।

আগরতলা, কৈনাসহর, ধর্মনগর, খোয়াই, পাবিয়াছড়া, চড়িলাম সহ পুরো ত্রিপুরা জুড়ে চলছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস। শুক্রবার পশ্চিম জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে কোন ধরনের আইনশৃঙ্খলা অবনতি পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যাতে পুলিশ প্রশাসন কঠোর হাতে দমন করবে। কোনও জমায়েত করা যাবে না। ধারালো অস্ত্র, লাঠি, রড, পাথর, বাঁশ ইত্যাদি বহন করা যাবে না। দুইটি বাইক একসাথে যাতায়াত করতে পারবে না।

প্রশাসন যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না গড়ে তাহলে কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিরোধ করে তোলা হবে। ঊনকোটি জেলায় আক্রান্তদের বাড়ি ঘর ঘুরে এ কথা বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও কৈলাসহরের বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে ভশ্রাবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে বলা হয়েছে, ভোটের ফলাফল । অপ্রত্যাশিত। বিরোধী ভোটে ভাঙন ধরতেই বিজেপির জয় হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা হতেই বিভীষিকাময় সন্ত্রাস নেমে এসেছে গোটা রাজ্যে।